Friday, February 15, 2013

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত

কক্সবাজার শহর ও শহরতলিতে আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী।
এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন শতাধিক। আজ দুপুর দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
সংঘর্ষের পর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জি এম রহিমুল্লাহ দাবি করেন, পুলিশের গুলিতে তাঁদের তিনজন সদস্য নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন তোফায়েল উদ্দিন (১৯), ফারুক আহমদ (২৫) ও নূর আলম (২২)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিলের উদ্দেশে সকাল ১০টা থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাস ও ট্রাকে করে শহরের দিকে আসতে থাকেন। কিন্তু পুলিশ বেলা ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, খুরুশকুল সড়ক ও কলাতলী মোড়ে তল্লাশি চালায় এবং শহরে যানবাহন প্রবেশে বাধা দেয়। দুপুর দুইটার দিকে শহরের খুরুশকুল সড়ক ও হাশেমিয়া মাদ্রাসা রোড দিয়ে কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির সমর্থক বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে পুলিশ এতে বাধা দেয়। এ সময় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ শতাধিক আহত হন। দুপুর আড়াইটার দিকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মো. আজাদ মিয়া বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মাঠে নামানো হয়েছে।
কক্সবাজার ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. খালেকুজ্জামান বলেন, ‘দুপুর দুইটার দিকে বিপুল সংখ্যক বিজিবি সদস্য মাঠে নেমেছে। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।’

No comments:

Post a Comment