Friday, February 15, 2013

কক্সবাজারে জামাত শিবির- পুলিশ সংঘর্ষ : নিহত ৪ : ১৪৪ ধারা জারি

সাইদীর মুক্তির দাবীতে শুক্রবার জুমা নামাজের পর কক্সবাজার শহরে জামাত শিবির মিছিল বের করলে পুলিশের সাথে প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়।সংঘষে ৪ জামাত শিবির কমীর মৃত্যু ও শতাধিক আহত হয়েছে।
সকাল থেকে শতাধিক ও বিকেলে সংঘষের সময় আরো ৩০ জনের মত গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানা গেছে দুপুর থেকে মাগরিব পযন্ত  থেমে থেমে সংঘষ অব্যাহত ছিল। শহরে বিজিবি র‌্যাব নামানো  হয়েছে । বিকেলে  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
রুমালিয়ার ছড়ায় অবরোধ সৃষ্টি

সুত্র মতে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর উলামা মাশায়েখ পরিষদ নেতা কর্মীরা মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে মিছিলকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। মুহুর্তের মধ্যে এ ঘটনার খবর পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়লে সর্ব পর্যায়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শহরে স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় থেমে থেমে সংঘর্ষ। এতে ঘটনাস্থলেই নুরুল নামের এক ব্যবসায়ী মারা যান এবং আহত হন আরো অনেকেই। পরে সংঘর্ষকালে উলামা মাশায়েখ পরিষদের বিক্ষোভে সমর্থনকারী জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এসময় টিয়ারশেলও ছুঁড়ে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় শহরে র‌্যাব-বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ১৪৪ ধারা চলছে। পুলিশ জামায়াত-শিবির কর্মী সন্দেহে দুই শতাধিক লোকজন আটক করেছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ পুলিশের ২ সদস্যসহ ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।নিহতরা হলেন- কক্সবাজার সদস উপজেলার কলিমুল্লাহর ছেলে তোফায়েল আহমেদ (২২), ইসলামপুর ইউনিয়নের ধর্মছড়া এলাকার মোহাম্মদ আলমের ছেলে নুরুল হক ওরফে মিয়া (৪২), পিএমখালী ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে আবদুল্লাহ (২৭), চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার হামিদ আলীর ছেলে সালেহ আহমদ (৪২)। সংঘর্ষে পুলিশের ২০ সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার জানান, জুমার নামাজের পর ‘আল্লামা সাঈদী মুক্তি পরিষদের’ ব্যানারে ব্যাপক সংখ্যক লোক জমায়েত করে শহরে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনার খবর আসে গোয়েন্দাদের কাছে।

যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেয়া এবং আটক শীর্ষনেতাদের মুক্তির দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই সহিংসতা চালিয়ে আসছে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির। জামায়াত-শিবিরের মিছিল ঠেকাতে কয়েকশ রাউন্ড ফাকা গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরেজমিনে দেখা যায়, মিছিলের তীব্রতায় পুলিশ চৌধুরী ভবন পয়েন্ট থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন জানিয়েছেন, শহরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সুত্র মতে, পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণার আলোকে জেলা উলামা মাশায়েখ পরিষদ নেতা কর্মীরা শহরের হাশেমিয়া মাদরাসা মসজিদে জুমা আদায় করতে জড়ো হতে থাকে। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সাধারণ মুসল্লিসহ সকলকে ব্যাপক তল্লাসী চালায়। তারা নামাজ শেষ শেষে মিছিল শুরু করলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে থাকলে পুরো এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

No comments:

Post a Comment