Tuesday, December 21, 2010

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

গন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের জের ধরে আজ মঙ্গলবার দলের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। পরে বিকেল তিনটায় আজকের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সদরঘাট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি সূত্রে জানা যায়, দুুপুর সোয়া একটার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল হাসান দলের সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সায়ীদের পক্ষের আপন নামের এক কর্মীকে মারধর করেন। ওই সময় পাশে থাকা সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের জ্যেষ্ঠ নেতারা এর প্রতিবাদ করেন। এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। সভাপতির পক্ষের কর্মীরা বেলা দেড়টার দিকে এক হয়ে ক্যাম্পাস থেকে জোর করে সাধারণ সম্পাদক পক্ষের কর্মীদের বের করে দেন।
এর ১৫ মিনিট পর সাধারণ সম্পাদক পক্ষের লোকজন সংগঠিত হয়ে লাটিসোঁটা নিয়ে সভাপতির পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালান। এভাবে ঘণ্টাব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে ও ভেতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। তাঁদের মধ্যে ২০-২৫ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিত্সা দেওয়া হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশ এ সময় ছয়-সাতজন সাংবাদিককে মারধর করে বলে কয়েকজন সাংবাদিক অভিযোগ করেন।
‘খবরপত্র’ পত্রিকার আহত সাংবাদিক ইব্রাহীম প্রিন্স জানান, সাংবাদিকেরা দাঁড়িয়ে ঘটনা দেখছিলেন। এ সময় পুলিশের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশ সাংবাদিকদের মারধর এবং সাংবাদিক সমিতির কক্ষ ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে পুলিশ ডিবেটিং সোসাইটির কক্ষ ভাঙচুর ও কয়েকজনকে মারধর করে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্য মেজবাউদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর কাজী আসাদুজ্জামান ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেছে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সায়ীদ জানান, ‘দলের সভাপতি এবং তাঁর কর্মীরা আমাদের ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে দিতে চায় না। তাই প্রায়ই তাঁরা আমাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালায়।’
এদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘দলের জুনিয়র কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। সাংগঠনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

No comments:

Post a Comment