Friday, December 31, 2010

ঝিনাইদহে নির্বাচনী সংঘর্ষ, তিন যুবলীগ কর্মী নিহত

ঝিনাইদহ শহরে যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শহরের পবহাটি চৌরাস্তা মোড়ে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের বজলুর রহমান (৪০), পবহাটি এলাকার আলমগীর হোসেন ওরফে আলম (৩৫) ও পোড়াহাটি গ্রামের সোহান ওরফে সোহাগ (২৭)। তাঁরা যুবলীগের কর্মী বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রেজাউল করিম।

এসপি জানান, পৌরসভা নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই পবহাটি এলাকার যুবলীগের নেতা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে মাসুদের বিরোধ চলছিল। আসন্ন পৌর নির্বাচনে মাসুদ ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী জাহিদুল ইসলামের পক্ষ নেন। অন্যদিকে জাহাঙ্গীর ওই ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থী আকতার হোসেনকে সমর্থন করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় জাহিদুল ইসলামের পক্ষে যুবলীগের নেতা মাসুদ ও অপর কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আকতার হোসেনের পক্ষে যুবলীগের নেতা জাহাঙ্গীর তাঁদের লোকজন নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। রাত আটটার দিকে দুই পক্ষের সমর্থকেরা শহরের পবহাটি চৌরাস্তা মোড়ে পৌঁছালে তাঁদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তাঁরা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের তিনজন গুরুতর আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের বড় ভাই আলমগীর হোসেন ও বজলুর রহমানকে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁরা মারা যান। আহত সোহানকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হচ্ছিল। পথে তাঁর অবস্থা খারাপ হলে মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বজলুর ও সোহান মাসুদ পক্ষের বলে জানা গেছে।
পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। এ ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে এসপি জানান।

No comments:

Post a Comment