Sunday, February 05, 2012

আবাদি জমিতে তামাক চাষ

চকরিয়ায় এ বছরও বিপুল পরিমাণ আবাদি জমিতে চাষ হয়েছে তামাক।
স্থানীয়ভাবে তামাক কোম্পানিগুলো চাষিদের বেশি মুনাফার প্রলোভনে ফেলে তামাক চাষ করেছে।

তামাকের আগ্রাসনে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার খাদ্য নিরাপত্তা। জমি হারাচ্ছে উর্বরতা শক্তি। এ অবস্থার কারণে ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে পরিবেশ সচেতন মহল। প্রতি বছর তামাক চাষের পরিধি বাড়তে থাকায় হ্রাস পাচ্ছে আবাদি জমি। অন্যদিকে মালিকরা তামাক জমির ইজারা বেশি পাওয়ায় ইরি-বোরো ও সবজি চাষের জমি সাধারণ কৃষকদের অল্প টাকায় বর্গা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, ফাসিয়াখালী, চিরিংগা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী হারবাং ও বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে ব্যক্তিমালিকাধীন আবাদি জমিতে এ বছরও তামাকের ব্যাপক চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি বর্গাচাষি সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, আবাদি জমিতে তামাক আগ্রাসনের কারণে জমির মালিকরা প্রতি বছর ইজারামূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা তামাক ক্ষেতের জমি বর্গা দিতে পারলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে বেশি, তাই ইরি-বোরো ও সবজিচাষিরা ওই মূল্যে জমি বর্গা নিতে পারেন না। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল বলেন, তামাক চাষ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক, এতে কোনো সন্দেহ নেই; কিন্তু এখানে নিয়োজিত টোব্যাকো কোম্পানিগুলোর ফাঁদে আটকে পড়ে কৃষকরা এ চাষ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তামাক চাষ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। তামাকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনে নিয়োজিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উবিনীগ, কক্সবাজারের আঞ্চলিক সমন্বয়ক রফিকুল হক টিটো বলেন, তামাক চাষের কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আতিক উল্লাহ বলেন, বোরো চাষের বরাদ্দকৃত সার তামাক ক্ষেতে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে এরকম কোনো ঘটনায় ডিলার, খুচরা বিক্রেতা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments:

Post a Comment