Thursday, May 31, 2012

কক্সবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহি লালদিঘী দখল

এবার কক্সবাজার শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহি লালদিঘীর জমিও দখল হয়ে গেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিস নির্মাণের জন্য লালদিঘীর দক্ষিণ পাড়ে রাতারাতি গড়ে উঠছে পাকা দালান।

এদিকে সংক্ষুব্ধ কিছু যুবক ‘ভূমিদস্যু গ্রুপের কার্যালয়’ শীর্ষক একটি সাইনবোর্ড শহরবাসীর মধ্যে কৌতুকের জন্ম দিয়েছে। আজ (বুধবার) সকাল ১১টার দিকে কিছু সংখ্যক যুবক বাংলাদেশ আাওয়ামী লীগ, কক্সবাজার জেলা শাখা, জাসদ, যুব জাসদ, কক্সবাজার জেলা কার্যালয়, জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের জেলা কার্যালয়ের পাশাপাশি ‘ভূমিদস্যু গ্রুপের কার্যালয়’ শীর্ষক সাইনবোর্ডটি টাঙ্গানো হয়।
প্রায় আড়াই‘শ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহি কক্সবাজার শহরের প্রাণ কেন্দ্রে লালদিঘী অবস্থিত। শহরবাসীর পানির সমস্যার দিকে দৃষ্টি রেখেই লালদিঘী নির্মাণ করা হয়েছিণ। বিগত সাত বছর পূর্বে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সরওয়ার কামাল লালদিঘীর দক্ষিণ পাড় ভরাট করে পরিবেশ সম্মত গাছ এবং ফুল গাছ লাগাবার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিকদের কাছে বিষয়টি ভাল ঠেকেনি। এতে করে জেলা আওয়ামী লীগ লালদিঘীর দক্ষিণ পাড়ের গাছ কেটে নির্মাণ কাজ শুরু করে দলীয় কার্যালয়। তাদের দেখা দেখি জাতীয় পার্টি, জাসদও লালদিঘীর পাড়ের জমি দখল করে তাদের দলীয় কার্যালয় নির্মাণ ক্জা শুরু করে। লালদিঘী দখলের প্রতিবাদে স্থানীয় সংক্ষুদ্ধ যুবকেরা আজ সকালে এই ব্যতিক্রমধর্মী সাইনবোর্ডটি টাঙ্গিয়ে দেয়।
লালদিঘীর দক্ষিণ পাড় দখল এবং এখানে অবৈধভাবে দলীয় কার্যালয় নির্মাণের ব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র রাজবিহারী দাশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কোন রাজনৈতিক দলকে লালদিঘী পাড়ের জমি দখলের অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং জমি লিজ দেওয়া হয়নি। তারা পৌরসভাকে পাশ কাটিয়ে, এমনকি পৌরসভাকে অবজ্ঞা করে পৌরসভার মালিকানাধীন জমি দখল করে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করছে। তিনি আরো দাবী করেন পৌরসভার জমি দখল করার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নুল বারী বলেছেন, ‘কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র লালদিঘীর দক্ষিণপাড়ের জমি দখল করে রাজনৈতিক দলের অফিস নির্মাণের বিষয়টি আমাকে মোবাইলে অবহিত করেছেন। আমি তাঁকে বলেছি লালদিঘীর সম্পত্তি আপনার সম্পত্তি। তার রক্ষার ব্যবস্থা আপনাকে করতে হবে। নিজেরা উচ্ছেদ করতে না পারলে পৌরকর্তৃপক্ষকে আমাদেরকে অফিসিয়ালি উচ্ছেদের চিঠি দিতে হবে। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোন চিঠি আমাদেরকে দেননি।’

No comments:

Post a Comment