Saturday, June 16, 2012

বঙ্গোপসাগরে ঝড়, উপকূলে প্রবল বর্ষণঃ ৩৫ নৌকাডুবিতে অর্ধশতাধিক জেলে নিখোঁজ, দুটি লাশ উদ্ধার

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ৩৫টি মাছ ধরার নৌকা ডুবে প্রায় অর্ধশতাধিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। এ দিকে উপকূলে প্রবল বর্ষণে ডাইভারশন সড়ক প্লাবিত হয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে উখিয়ার তিন শতাধিক বসতবাড়ি। অন্যদিকে পালংখালী ইউনিয়নের চিংড়ি ঘের অধ্যুষিত এলাকা প্লাবিত হয়ে প্রায় শতাধিক চিংড়ি চাষির কোটি টাকার চিংড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়ায় ভারি বর্ষণ গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
জানা গেছে, ঝড়ের কবলে পড়ে উখিয়া ও টেকনাফ উপকূলীয় এলাকার জাহাজপুরায় চারটি, খলবনিয়ায় একটি, শীলখালীতে দুটি, শামলাপুরে ১৭টি ও মনখালী চ্যানেলে ছয়টি মাছ ধরার নৌকা ডুবে যায়। বাহার ছড়া উত্তর শীলখালী গ্রামের ফিশিং ট্রলার মালিক মো. নুরুল হুদা জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এসব জেলেনৌকা মাঝিমাল্লাসহ সাগরে মাছ ধরার জন্য রওয়ানা হয়। কিছু দূর গেলে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় নৌকাগুলো। এ সময় কয়েকজন সাগরে থাকা অন্য বোটে ওঠতে সক্ষম হলেও প্রায় অর্ধশতাধিক জেলে নিখোঁজ হন।
বাহার ছড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামসুদ্দিন জানান, গতকাল দুপুর ১২টায় বাহার ছড়া উপকূল থেকে নিহত জেলে বাইন্যা পাড়া গ্রামের মমতাজ আহাম্মদ (৩৫) ও অপর এক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উখিয়া উপকূল জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোছাইন জানান, মনখালী চ্যানেলে ছয়টি জেলেনৌকা মাঝিমাল্লাসহ নিখোঁজ হয়। এ দিকে প্রবল বর্ষণে খুনিয়া পালং এলাকায় নির্মাণাধীন কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের একটি কালভার্টের ডাইভারশন প্লাবিত হলে গতকাল সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় অসহনীয় দুর্ভোগে পড়ে দূরপাল্লার যাত্রীরা।

No comments:

Post a Comment