Saturday, June 16, 2012

১৭ বছরেও সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি মগনামার মহুরীপাড়া-মগঘোনা ও দর্দরীঘোনা সড়কে

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন মগনামার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে মহুরীপাড়া মগঘোনা ও দর্দরীঘোনা সড়ক অন্যতম।

প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী ছাত্রছাত্রী ছাড়াও শত শত লোক যাতায়াত করলেও ভগ্নদশায় পড়ে আজ এ সড়কটির বেহাল অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
১৯৯৪ সালে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে প্রথম ইট বিছানোর পর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছরেও সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। এলাকাবাসী জানায়, বর্তমানে সড়কটি দিয়ে হাঁটাচলাও দায় হয়ে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, এ এলাকার অনেক কৃতীসন্তান জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিলেও ভগ্নদশায় নিপতিত সড়কটি দীর্ঘ ১৭ বছরেও সংস্কারের জন্য কারও নজর কাড়েনি। মহুরীপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সোলতান মো. রিপন চৌধুরী জানিয়েছেন, মহুরীপাড়া, মগঘোনা ও দর্দরীঘোনা এলাকার বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র সড়কটি বিগত ৭-৮ বছর ধরে চলাচল অনুপযোগী রয়েছে। যানবাহন তো দূরের কথা মানুষ চলাচল করাও দায় হয়ে পড়েছে। অথচ এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় শত শত ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন স্কুল, মাদরাসা, কলেজ ও মাদরাসায় যাতায়াত করছে। বর্তমানে যানবাহন চলাচল না করায় এসব শিক্ষার্থীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ওই এলাকার লবণ ব্যবসায়ী রবিউল আলম, মোশারফ হোসেন, জয়নাল আবেদীন, ছরুয়ার ও দেলোয়ার হোসেন জানান, জরাজীর্ণ সড়কটি ব্যাহত করছে এ এলাকার মানুষের একমাত্র আয়ের উত্স লবণ সরবরাহ। পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল না করায় মহুরীপাড়া, মগঘোনা ও দর্দরীঘোনা এলাকার সড়ক সংলগ্ন অনেক জমিতে বর্তমানে কৃষকরা লবণ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। কারণ ওই সড়কটি ছাড়া লবণ সরবরাহ করার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই চাষীদের।
মহুরীপাড়া এলাকার খুচরা সার ব্যবসায়ী মো. আলমগীর জানান, বিগত ১৭ বছর আগে এ সড়কটি প্রথম ব্রিক্স সলিং হলেও পরে আর কোনো সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। ফলে বর্তমান এ সড়ক দিয়ে চলাচল ও পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল মোস্তফা চৌধুরী জানান, ওই সড়কটি পাকাকরণে বিভিন্নভাবে চেষ্টা-তদবির চলছে। হয়তো শিগগিরই সড়কটি পাকাকরণের জন্য বরাদ্দ পাওয়া যাবে। পেকুয়া উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) হারু কুমার পাল জানান, মহুরীপাড়া-মগঘোনা ও দর্দরীঘোনা সড়কের পূর্ব দিকে দেড় কিলোমিটার এলাকা ব্রিক্স সলিংয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকার চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়াত আজিজ রাজু জানান, মগনামার এ সড়কটিসহ উপজেলার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংস্কার কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আশাকরি, খুব শিগগিরই সড়কগুলোর জন্য বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

No comments:

Post a Comment