Sunday, September 16, 2012

বন ও প্রকৃতি রক্ষায় বিশ্বসেরা'ওয়াংগারি মাথাই' পুরস্কার পাচ্ছেন টেকনাফের খুরশিদা

বন ও প্রকৃতি রক্ষায় অবদানের জন্য বিশ্বসেরা মহিলা হিসেবে 'ওয়াংগারি মাথাই' পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন টেকনাফের মহিলা মেম্বার খুরশিদা বেগম। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ইতালির রাজধানী রোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
১৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) বিপুল কৃষ্ণ দাশ বলেন, এ অর্জন শুধু খুরশিদা বেগমের নয়, এটি কক্সবাজার জেলাসহ পুরো বাংলাদেশের অনন্য কৃতিত্ব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে লড়াই করে বাংলাদেশ এ পুরস্কার অর্জন করেছে।

প্রসঙ্গত, কেনিয়ার পরিবেশবাদী নারী রাজনীতিক ওয়াংগারি মুতা মাথাই সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হিসেবে বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে গড়ে তুলেছিলেন গ্রিন বেল্ট মুভমেন্ট নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। বৃক্ষরোপণ এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় এই আন্দোলন সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়। ফলে ২০০৪ সালে আফ্রিকা অঞ্চলের প্রথম নারী হিসেবে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। এই মহীয়সী নারীর সম্মানার্থে এবং সারা বিশ্বের নারীদের মধ্যে যাঁরা প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে ভূমিকা রাখছেন, তাঁদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য জাতিসংঘ তাঁরই নামে এ বছর থেকে চালু করেছে ওয়াংগারি মাথাই পুরস্কার। ওয়াংগারির মৃত্যু দিবসে প্রতিবছর এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। এ পুরস্কারের মূল্যমান ২০ হাজার ইউএস ডলার। সঙ্গে থাকবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, যাতায়াত ভাতাসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা। আর প্রথম বছরেই এই পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের টেকনাফের খুরশিদা বেগম।
পুরস্কারে মনোনীত হওয়ার তথ্য বিবরণীতে জানা যায়, চলতি বছর এই পুরস্কারে অংশ নেওয়ার জন্য ২০ জুলাই পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয় এবং কমপক্ষে তিন মাস আগে থেকে যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাঁদের আবেদন গ্রহণ করা হয়। এর নিমিত্তে বিশ্বের পাঁচ শতাধিক মহিলার আবেদন জমা হয়। আয়োজক কমিটি যাচাই-বাছাই এবং সরেজমিনে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের টেকনাফ উপজেলার কেরুনতরী গ্রামের মৃত লোকমান হাকিমের মেয়ে খুরশিদা বেগমকে মনোনীত করে।

No comments:

Post a Comment