Sunday, September 16, 2012

উখিয়ায় ফসলি জমিতে বসতবাড়ি

উখিয়ার ফসলি জমিতে আবাসস্থল তৈরি হিড়িক পড়েছে। যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো তৈরির ফলে কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। সরকার ফসলি জমিতে অবকাঠামো তৈরির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উপজেলা প্রশাসন পর্যায়ে নীতিমালা আরোপ করলেও ওই নির্দেশ এখানে কার্যকর হচ্ছে না।

২-৩ বছর ধরে উপকূলের পর্যটন এলাকায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর ফসলি জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, হ্যাচারি শিল্পসহ শত শত সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। সম্প্র্রতি পুলিশ প্রশাসন উখিয়ার কয়েকটি স্থানে ফসলি জমির ওপর অবকাঠামো তৈরিকালে বাধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। এভাবে উখিয়ার ৫ ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমি আবাদহীন হয়ে গেছে বলে বিশিষ্ট জনেরা মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এ উপজেলায় ১২ হাজার ৮১১ হেক্টর জমিতে বোরো ও আমন উৎপাদন হয়ে আসছিল। ১৬ হাজার ১২৮ জন কৃষক কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার কথা। খাতা কলমে অর্ধ লক্ষাধিক কৃষক পরিবার কৃষি খাতে উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। এ ছাড়াও ৮ হাজার ৫২০ জন প্রান্তিক চাষী, ২ হাজার ২৩০ জন ক্ষুদ্র চাষি ও ১ হাজার ৮৫০ জন মাঝারি চাষিসহ লক্ষাধিক মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষি জমি হ্রাস পাওয়ার ফলে কৃষি শ্রমিক বেকার হয়ে যাচ্ছে। এসব হতদরিদ্র শ্রমিক জীবন-জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হলেও পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জুলাশ উদ্দিন বলেন, যেভাবে কৃষি জমির মাটি লুটপাট ও কৃষি জমি ভোগদখল বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে এখানে ফসল উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এখানে অদূর ভবিষ্যতে ব্যাপক খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। ইউএনও মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, কৃষি জমির ওপর কোনো প্রকার স্থাপনা তৈরি করা যাবে না। অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিধিবিধান রয়েছে।

No comments:

Post a Comment