Wednesday, December 29, 2010

উপনির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি

বিগঞ্জ-১ ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৩ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বুধবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনি। বৈঠক শেষে আর এ গনি সাংবাদিকদের বলেন, "বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাবসমূহ সংবাদ ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।"

তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে পার্লামেন্টারি বোর্ড এই সাক্ষাৎকার দেবে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে। এর আগে বুধবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রাত ৮টা ২০ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, উপনির্বাচন ও পৌর নির্বাচনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আর এ গনি, এম শামসুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, জমিরউদ্দিন সরকার, আ স ম হান্নান শাহ, সারোয়ারি রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও রফিকুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন অসুস্থ থাকায় বৈঠকে আসতে পারেননি। এর আগেও শূন্য আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো বিএনপি। সর্বশেষ এ বছরের ২৪ এপ্রিল ভোলা-৩ আসনের উপনির্বাচনে দলটি অংশ নেয়। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূরন্নবী চৌধুরী শাওন বিএনপির হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে হারিয়ে নির্বাচিত হন।

গত বছরের ১৫ জুন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগের মতিউর রহমান। বিএনপি থেকে নির্বাচন করেন ফজলুল হক আসপিয়া। ওই বছরের ২ এপ্রিল হয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে।

এ ছয়টি আসন হল- রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ছেড়ে দেওয়া কিশোরগঞ্জ-৬, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রংপুর-৬, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বগুড়া-৬ ও ৭, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রংপুর-৩ ও কুড়িগ্রাম-২।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগ তিনটি, বিএনপি দুটি ও জাতীয় পার্টি একটি আসন পায়। জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক: জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক পরপরই খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশানের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপনির্বাচন ও পৌর নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা হয়।

No comments:

Post a Comment