অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার দায়ে দায়ের করা এক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরাকে নিু আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে এ আদেশ দেয়।
হাজী সেলিমকে সহযোগিতার দায়ে ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল সংসদ ভবনের বিশেষ জজ আদালত স্ত্রী গুলশান আরাকে তিন বছরের সাজা ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। হাজী সেলিম ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এ রায় চ্যালেঞ্জ করে গুলশান আরা ২০০৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর একটি রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট ওই দণ্ডাদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পরে দুদক আপিল অবেদন করে।
এ বিষয়ে গুলশান আরার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুফিয়া খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে বলেন, গুলশান আরা হাইকোর্টে করা তার রিট আবেদনটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাই আগের দণ্ডাদেশ বহাল রেখে উচ্চ আদালত তাকে নিু আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এমএ আজিজ খান।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে হাজী সেলিম দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানায় মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মুহম্মদ মাহবুবুল আলম। ওই মামলায় হাজী সেলিমের ১৩ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়।
এরপর ২০০৮ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ দম্পত্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক মো. আবু সাঈদ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, হাজী সেলিম জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ প্রায় ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। এছাড়া, কমিশনে জমা দেওয়া হিসাব বিবরণীতে তিনি প্রায় ১০ কোটি ৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা তার স্বামীর অর্জিত প্রায় চার কোটি ৮৮ লাখ টাকা নিজ নামে রেখে এবং স্বামীকে সহায়তা করে অপরাধ করেছেন। হাজী সেলিম ও গুলশান আরা সম্পদ বিবরণীতে প্রায় ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার হিসাব দেন।
এ রায় চ্যালেঞ্জ করে গুলশান আরা ২০০৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর একটি রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট ওই দণ্ডাদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পরে দুদক আপিল অবেদন করে।
এ বিষয়ে গুলশান আরার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুফিয়া খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে বলেন, গুলশান আরা হাইকোর্টে করা তার রিট আবেদনটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাই আগের দণ্ডাদেশ বহাল রেখে উচ্চ আদালত তাকে নিু আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এমএ আজিজ খান।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে হাজী সেলিম দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানায় মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মুহম্মদ মাহবুবুল আলম। ওই মামলায় হাজী সেলিমের ১৩ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়।
এরপর ২০০৮ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ দম্পত্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক মো. আবু সাঈদ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, হাজী সেলিম জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ প্রায় ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। এছাড়া, কমিশনে জমা দেওয়া হিসাব বিবরণীতে তিনি প্রায় ১০ কোটি ৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা তার স্বামীর অর্জিত প্রায় চার কোটি ৮৮ লাখ টাকা নিজ নামে রেখে এবং স্বামীকে সহায়তা করে অপরাধ করেছেন। হাজী সেলিম ও গুলশান আরা সম্পদ বিবরণীতে প্রায় ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার হিসাব দেন।
No comments:
Post a Comment