Wednesday, January 19, 2011

যশোরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে যুবককে হত্যা

শোরে প্রকাশ্যে কয়েক শ মানুষের সামনে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মোহাম্মদ সেলিম (২৪) নামের এক যুবককে হত্যা করেছে। হত্যার পর সন্ত্রাসীরা বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের ধর্মতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। সেলিমের বাড়ি শহরের লোন অফিসপাড়ায়।

তাঁর বাবার নাম আব্দুর রহমান। চৌরাস্তা এলাকায় তাঁদের ‘নাজমা হোটেল’ নামে একটি হোটেল রয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলে যাত্রী ছাউনির পাশে সেলিম তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী সেখানে হাজির হয়ে রামদা, গাছিদা দিয়ে সেলিমকে কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী গৃহবধূ বিউটি বেগম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় ধর্মতলা এলাকার শাকিল, কাম, মো. শাওন, জুয়েল, জনিসহ ছয়-সতজন সন্ত্রাসী এসে দা দিয়ে কুপিয়ে সেলিমকে মেরে ফেলে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ওই সন্ত্রাসীরাই ২০-২২ দিন আগে আমার ভাই বাবুকেও কুপিয়েছিল।’ সেলিমের বাবা আব্দুর রহমান বলেন, ‘সন্ধ্যার আগে সেলিম হোটেল থেকে ৩০০ টাকা নিয়ে একটি মোবাইল ফোন পেয়ে বন্ধু শাওনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে বের হয়। যাওয়ার সময় সে বলে, জরুরি কাজে যাচ্ছি। সন্ধ্যার পর আমি তার মৃত্যুর খবর জানতে পারি। জেলখানায় আটক সন্ত্রাসী হাঁস সোহেল তার সহযোগীদের দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করিয়েছে।’ মা সুফিয়া বেগম হাসপাতালে বলেন, ‘ওরা আমার ছেলেকে বাঁচতে দিল না। আমি ছেলের খুনের বিচার চাই।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘সেলিমের বুকে ও কোমরে গভীর ক্ষত রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’ এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘কী কারণে খুন হয়েছে, প্রাথমিকভাবে তা বলা যাচ্ছে না। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
গতকালের এ খুনের ঘটনায় শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি শহরের ষষ্টিতলা পাড়ায় কামাল নামে এক যুবদলকর্মীকে একইভাবে হত্যা করা হয়।

No comments:

Post a Comment