Wednesday, January 19, 2011

মসলা চাষে আশানুরূপ ঋণ বিতরণ হচ্ছে না

ডাল, মসলা এবং তেলবীজ জাতীয় ফসলে ঋণ বিতরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা আমলে নিচ্ছে না রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো। এসব খাতে ব্যাংকগুলোর জন্য সুদ ভতর্ুকির ব্যবস্থা থাকলেও ব্যাংকগুলো বিতরণে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এ খাতে আশানুরূপ ঋণ বিতরণ না করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

সূত্র জানায়, রাষ্টায়ত্ত খাতের সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী এবং বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ডাল, মসলা এবং তেলবীজ জাতীয় ফসলে যথেষ্ট কৃষি ঋণ বিতরণ করছে না। এই কারণে তাদের এই ফসল খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সেমিনার কক্ষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সাথে বৈঠকে এ বিষয়ে তাগাদা দেয়া হয়।

সূত্র জানায়, চার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ১৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে। মসলা খাতে ঋণ বিতরণে অসন্তোষ প্রকাশ করে গভর্নর বলেন, এ বছর (২০১০) রূপালী ব্যাংকের ১ কোটি ৪০ লাখ টাকাসহ এখাতে মোট ৯৬ কোটি ৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঋণ বিতরণ আশানুরূপ হয়নি।

বৈঠকে গভর্নল এ খাতে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য তাগিদ দিয়ে আরো বলেন, এ ব্যাপারে কালক্ষেপনের সময় নেই। আপনাদের ক্লোজিং শেষ হয়েছে। এ খাতের ঋণ বিতরণ বাড়াতে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে হবে।

'কৃষি ও পলস্নী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি' নীতিমালায় পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ বিভিন্ন মসলা চাষে কৃষককে উৎসাহিত করতে মাত্র ২ শতাংশ সুদে ঋণ প্রদান করার বিধান। এর জন্য ব্যাংকগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে ঋণের সুদের উপর ভতর্ুকি প্রদান করা হয়। অন্যদিকে কৃষকদের ১০ টাকার ব্যাংক হিসাবে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার স্থিতির ওপর প্রযোজ্য আবগারী শুল্ক মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সমপ্রতি এ সংক্রান্ত একটি সার্কূলার জারি করেছে সরকার।

আতিউর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ৯০ লাখের অধিক কৃষক ব্যাংক হিসাব খুলতে পারা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি বিরাট অর্জন। এর মধ্য দিয়ে শুধু কৃষকদের কাছে ভর্তুকির টাকা পৌঁছে দিলে চলবে না। এসব হিসাবগুলোকে বিভিন্ন উপায়ে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে কৃষকরা প্রকৃত সুফল পাবেন।

গভর্নর এমডিদের উদ্দেশ্যে বলেন, কৃষকদের এ হিসাব খুলতে উৎসাহিত করতে হবে। ছোট ছোট সঞ্চয় যেমন, যদি কোন কৃষক ১০০ টাকা জমা দিতে আসে তবে আপনারা তা ঝামেলা মনে করবেন না। বরং তাদের উদ্বুদ্ধ করবেন।

No comments:

Post a Comment