Friday, May 25, 2012

নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ছড়াছড়ি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হাটবাজারগুলোতে প্রকাশ্যে পরিবেশদূষণকারী নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ বিক্রি ও ব্যবহার করা হচ্ছে। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে এসব পলিথিন ব্যাগ এনে মজুদ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০০২ সালের ৮ এপ্রিল পরিবেশ অধিদপ্তর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রি, বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুদ ও বিতরণ নিষিদ্ধ করে।
উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ বাজার, নয়াপাড়া বাজার, সাবরাং বাজার, পুরাতন বাসস্টেশন বাজার, হ্নীলা বাজার, হোয়াইক্যং বাজার, সেন্ট মার্টিন বাজারসহ সব কটি বাজারেই নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ প্রকাশ্যে বিক্রি ও ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলার অন্তত ২৩টি সীমান্ত এলাকা দিয়ে এসব পলিথিন ব্যাগ পাচার হয়ে দেশে আসছে বলে জানা গেছে।
বাসস্টেশন বাজারের ব্যবসায়ী সৈয়দ আলম জানান, বাজারে চটের ব্যাগ পাওয়া গেলেও সেগুলোর দাম বেশি থাকায় পলিথিন ব্যাগের চাহিদা বেড়ে গেছে। মিয়ানমার থেকে প্রতিদিন টেকনাফের বাজারে পলিথিন ব্যাগ আসছে। অধিকাংশ সময় পলিথিন ছাড়া ক্রেতারা মাল কিনতে চান না। এ কারণে তাঁরা পলিথিন রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। পরিবেশ অধিদপ্তর বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিয়মিত অভিযান না চালানোয় পলিথিনের ব্যবহার বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন।
এ প্রসঙ্গে ৪২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জাহিদ হাসান প্রথম আলোকে জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচারকালে দুই লাখ ১৩ হাজার ৭৮৯টি পলিথিন ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।
টেকনাফ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইদ আল শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধ করতে উপজেলার হাটবাজারে আবারও অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ ন ম নাজিম উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মিয়ানমারের পলিথিন ব্যাগ এনে মজুদ করছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

No comments:

Post a Comment