বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘মানবাধিকার সংরক্ষণ করা যাদের প্রধান দায়িত্ব সেই নির্বাহী বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা ও ক্ষমতা যথেষ্ট নেই। অনেক সময় প্রস্তুতিও থাকে না।’ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মানবাধিকার পাওয়ার জন্য আদালতে যাবেন, সেখানে বিলম্ব কাটিয়ে কখন মামলার নিষ্পত্তি হবে, তা ভগবান জানেন।’ আজ শুক্রবার বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতির আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিবুর রহমান এসব কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে অনেক বেশি। এর বিচার শুরু হয়েছে। তবে নানা কারণে বিলম্ব হচ্ছে। দাঁতভাঙা তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা না করে যেটুকু প্রমাণ আছে, তা দিয়ে বিচার শুরু করতে হবে। কোনো আক্রোশের কারণে যাতে এ বিচার না হয়, সেটাও দেখতে হবে। অন্যদিকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও স্নেহের পাত্র বলে কাউকে যাতে অনুগ্রহ দেখানো না হয়, তা-ও দেখতে হবে।
হাবিবুর রহমান দেশে মানবাধিকার কমিশনের গঠনকে সুসংবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জাতিসংঘ ডেস্ক) ইশরাত জাহান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক ১৬টি সনদে এ পর্যন্ত অনুস্বাক্ষর করেছে। দেশের জনগণ কথা বলা, লেখা ও সংগঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে যে স্বাধীনতা ভোগ করছে, তা অনেক দেশের জনগণের পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না।
No comments:
Post a Comment