Monday, January 31, 2011

নরওয়ের পত্রিকার ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ অ্যাসাঞ্জ

রওয়ে থেকে প্রকাশিত পত্রিকা আফটেনপোস্টেন-এর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, গোপন মার্কিন কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশ করে তারা ভিন্নধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ক্ষিপ্ত করেছে। আফটেনপোস্টেন নিজেদের মর্জিমতো বার্তাগুলো প্রকাশ করার কারণেই অ্যাসাঞ্জের এই ক্ষোভ।
গত ডিসেম্বর থেকে আফটেনপোস্টেন নিয়মিতভাবে উইকিলিকসের ফাঁস করা প্রায় আড়াই লাখ গোপন মার্কিন কূটনৈতিক বার্তা নিজেদের মর্জি অনুযায়ী প্রকাশ করে আসছে।
গত নভেম্বরে প্রথম গোপন কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দেয় উইকিলিকস কর্তৃপক্ষ। ওই সময় তারা ঘোষণা দেয়, তাদের হাতে এ ধরনের আড়াই লাখের বেশি বার্তা রয়েছে।
ওই বার্তাগুলো নিয়মিতভাবে প্রকাশ করার জন্য বিশ্বে বহুল প্রচারিত ও জনপ্রিয় পাঁচটি পত্রিকার সঙ্গেও চুক্তি করে উইকিলিকস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আফটেনপোস্টেন ওই পাঁচটি পত্রিকার মতো কোনো চুক্তি বা শর্ত মেনে বার্তাগুলো প্রকাশ করছে না। নরওয়ের ওই পত্রিকা কর্তৃপক্ষের মাত্র তিনজন জানেন কীভাবে উইকিলিকসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ওই সব গোপন নথি পাওয়া গেছে।
আফটেনপোস্টেন-এর বার্তা সম্পাদক ওলে এরিক আলমলিদ বলেন, ‘এগুলো (গোপন নথি) পাওয়ার জন্য আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। শুধু একটি ই-মেইলের মাধ্যমে এগুলো আমাদের হস্তগত হয়নি। তবে আমরা এর জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করিনি এবং এগুলো দেওয়ার বিনিময়ে কোনো শর্তও আরোপ করা হয়নি। আমাদের স্বাভাবিক কঠোর সম্পাদকীয় নীতিমালা অনুসরণ করেই আমরা এই বার্তাগুলো প্রকাশ করতে পারি।’
নরওয়ের রাজধানী ওসলোতে সুসজ্জিত কার্যালয়ে ৩০ জন সংবাদকর্মী দিনরাত পরিশ্রম করে সতর্কতার সঙ্গে ওই আড়াই লাখ গোপন মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে। উইকিলিকস যেভাবে বুঝেশুনে সতর্কতার সঙ্গে ওই নথিগুলো প্রকাশ করছে, সেই নীতি না মেনে আফটেনপোস্টেন তাদের নিজেদের মর্জিমাফিক আগেভাগেই বিভিন্ন বার্তা প্রকাশ করে দিচ্ছে।
চলতি মাসের শুরুতে অ্যাসাঞ্জ নরওয়ের একটি অর্থনীতিবিষয়ক পত্রিকাকে বলেছিলেন আফটেনপোস্টেন তাদের ‘মিডিয়া পার্টনার’।
তবে তাঁর এই দাবি পুরোপুরি সমর্থন করে না ওই পত্রিকার কর্তৃপক্ষ। অ্যাসাঞ্জের পরিকল্পনা অনুযায়ী তার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ পাঁচটি পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান, দের স্পিগেল, এল পাইস ও লা মঁদ এবং উইকিলিকস হিসাব করে নিজেদের নীতিমালা অনুযায়ী গোপন বার্তাগুলো ফাঁস করবে। কিন্তু নরওয়ের পত্রিকাটি ওই নীতিমালা না মেনে নিজেদের মতো করে গোপন নথিগুলো প্রকাশ করে দিচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহে পত্রিকার পাতাগুলোয় ওই সব গোপন কূটনৈতিক বার্তার বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। একটি সংবাদে জানানো হয়, ইসরায়েল গাজার অর্থনীতি ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল, আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে একটি বাণিজ্যিক কৃত্রিম উপগ্রহের ছদ্মবেশে একটি গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে।
অন্য একটি খবরে জানানো হয়েছে, দামেস্কে স্ক্যান্ডেনেভিয়ার দেশগুলোর দূতাবাসে চালানো হামলায় সমর্থন দিয়েছে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ। এএফপি।

No comments:

Post a Comment