Sunday, September 25, 2011

নানা কৌশলে সীমান্তে হত্যা-নির্যাতন চলছেই by মেহেদী হাসান

ভারতের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হত্যা বন্ধ হয়নি, বরং সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশিদের ওপর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পাশাপাশি সে দেশের খাসিয়া জনগোষ্ঠীর লোকজনও গুলি ছুড়ছে। সীমান্তে ভারতের নির্মিত কাঁটাতারের বেড়া বিদ্যুতায়িত করে রাখার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবং বিএসএফের ছোড়া পাথরের আঘাতে বাংলাদেশি নাগরিক হতাহত হচ্ছে। আটকের পর নিতম্বে ইনজেকশনের মাধ্যমে পেট্রল-জাতীয় তরল পদার্থ পুশ করে নতুন কায়দায় নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সীমান্ত সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হত্যা ও নির্যাতনের এ বিষয়গুলো উঠবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আজ রবিবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের এ সম্মেলন। চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ছয় দিনের সম্মেলন হচ্ছে পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে। এর আগে গত মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নয়াদিলি্লতে পাঁচ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন হয়। রীতি অনুযায়ী এবারের সম্মেলন হচ্ছে ঢাকায়।
গতকাল বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের সীমান্ত সম্মেলনে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোসহ আরো কিছু দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
সম্মেলনে যোগ দিতে বিএসএফ মহাপরিচালক রমন শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল আজ রবিবার ঢাকায় এসে পেঁৗছবেন। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন ২৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
সীমান্তে হত্যা-নির্যাতন : বাংলাদেশের বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে গত আগস্ট মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সীমান্তে মোট ৯৯৮ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বিএসএফের হাতে ৯২৩ এবং ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকদের হাতে ৭৫ জন। একই সময়ে বিএসএফের হাতে ৬৬১ এবং ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকদের হাতে ৩৩৫ জন বাংলাদেশি আহত হয়। প্রায় ১১ বছরে সীমান্তে ৯৫৭ জন অপহৃত এবং ১০৭ জন বাংলাদেশি নিখোঁজ হয়। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৪ জন বাংলাদেশি।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত বছর এক প্রতিবেদনে সীমান্তে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরও বিএসএফ জওয়ানরা পার পেয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে।
জানা গেছে, সিলেটের গোয়াইন ঘাট উপজেলার পান্তুমাই গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে তেরা মিয়া (১৮) গত ১১ সেপ্টেম্বর পাদুয়া সীমান্তে বাংলাদেশি ভূমিতে গরু চরানোর সময় গুলিবিদ্ধ হন। সীমান্তের ওপর থেকে আসা ওই গুলি বিএসএফ ছোড়েনি। তাদের উপস্থিতিতে ভারতীয় খাসিয়ারা গুলি করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়। এর আগে ১২ আগস্ট ওই সীমান্তের বিছনাকান্দি এলাকায় কামাল উদ্দিন জহুর (৩২) ও কামাল আহমদ (৩০) নামের দুই বাংলাদেশি পাথর কোয়ারিতে কাজের সময় ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে নিহত হন।
অধিকারের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টে বিএসএফ একজন বাংলাদেশিকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করেছে। বিএসএফের গুলিতে আহত হয় আরো একজন। এর আগে ২২ জুলাই চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার ঠাকুরপুর গ্রামের লিয়াকত হোসেনের ছেলে মো. সেলিম উদ্দীন (২২) ভারতের রাঙ্গিয়ারপোতা থেকে ৯০ নম্বর সীমান্ত পিলারের পাশ দিয়ে দেশে ফেরার পথে বাঁশের বিদ্যুতায়িত বেড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। চোরাচালান রোধের অজুহাতে বিএসএফ রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সীমান্তের এ বেড়ায় ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিকসংযোগ দিয়ে বিদ্যুতায়িত করে রাখে বলে অভিযোগ রয়েছে। সীমান্তে যেখানে কাঁটাতারের বেড়া এখনো নির্মিত হয়নি, সেখানে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়েছে ভারত।
মে মাসের প্রতিবেদনে অধিকার বলেছে, গত ৭ মে দিনাজপুর জেলার সুন্দরা সীমান্ত এলাকায় ফয়জুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩০) বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। এর আগের দিন কুড়িগ্রামের রাজিবপুর সীমান্তে রউফ মিয়া নামের এক বাংলাদেশি কৃষককে বিএসএফ অপহরণ করে নিয়ে যায়।
গোয়াইনঘাট উপজেলার ভিতরগুল গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে রুবেলকে (১৬) গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করে ভারতীয় খাসিয়ারা। নিহতের পরিবার ও স্বজনরা জানিয়েছে, এই কিশোর তার দুই বন্ধুসহ সীমান্তের কাছাকাছি বাংলাদেশের ভূখণ্ডেই পায়চারি করছিল। গত ১৮ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার গাজীপুর সীমান্তে মনসুর আলীর ছেলে রেকাতুল ইসলাম (১৭) বিএসএফের গুলিতে মারা যায়।
বারবার আশ্বাস : গত ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে কিশোরী ফেলানি নিহত হওয়ার কয়েক দিন পরই ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোপাল কৃষ্ণ পিল্লাই সীমান্তে হত্যা বন্ধের আশ্বাস দেন। এর আগেও প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি জানিয়ে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব বলেছিলেন, 'ভারত আবারও সীমান্তে হত্যার সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার আশ্বাস দিচ্ছে এবং এটি নিশ্চিত করতে বিএসএফ সদস্যের সঙ্গে কাজ করছে।'
ভারতীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের নতুন করে আশ্বাসের পরও সীমান্তে হত্যা দৃশ্যত থামেনি। ওই মাসে মোট চারজন বাংলাদেশি বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে নিহত হয়। পরের মাসে বিএসএফের নির্যাতনে এক বাংলাদেশি নিহতসহ ছয়জন আহত হয়। মার্চ মাসে দুজন বাংলাদেশি সীমান্তে নিহত হয়েছে ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকের গুলিতে। একই মাসে বিএসএফের গুলিতে আহত হয় ২১ জন। এপ্রিল মাসে বিএসএফের গুলিতে পাঁচ ও ভারতীয় বেসামরিক ব্যক্তিদের গুলিতে একজন বাংলাদেশি প্রাণ হারায়। ওই মাসেই বিএসফের গুলি ও নির্যাতনে আহত হয় ১২ বাংলাদেশি। অন্যদিকে, ভারতীয় বেসামরিক ব্যক্তিদের গুলিতে আহত হয় আরো দুজন। মে মাসে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে চারজন এবং ভারতীয় বেসামরিক ব্যক্তিদের নির্যাতনে একজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। জুনে বিএসএফের গুলিতে দুজন এবং নির্যাতনে একজন নিহত হয়। জুলাই মাসে বিএসএফের গুলিতে একজন এবং নির্যাতনে দুজন মারা যায়। আগস্ট মাসে মারা যায় বিএসএফের হাতে একজন। এ সময় ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকদের গুলিতে নিহত হয় আরো দুজন।
আশ্বাস সত্ত্বেও সীমান্তে হত্যা-নির্যাতন চলার বিষয়ে গত ৭ জুন ঢাকায় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব (বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত) নিরুপমা রাও বলেছিলেন, 'আমরা সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে। অনেক সময় ভারতীয়রা মারা যায়, কখনো কখনো বাংলাদেশিরা। কারো মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়। রাতে সীমান্তে কারফিউ থাকে। চোরকারবারীরা সাধারণত রাতে সীমান্ত অতিক্রম করে। নিরস্ত্র সাধারণ মানুষও করে। আমরা এ হত্যা বন্ধে রূপরেখা নিয়ে কাজ করছি। এর মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে সীমান্তের কয়েকটি অংশে বিএসএফকে প্রয়োজনে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।'
এরপর ৭ জুলাই ঢাকা সফরের সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা সাংবাদিকদের বলেন, 'সীমান্তে এখনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। অপরাধ ঠেকানোর সর্বশেষ উপায় হলো হত্যা। হতাহতের শিকার হওয়া ৪০ শতাংশ ভারতীয় নাগরিক। বাংলাদেশের মতো বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের নাগরিকদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য বিএসএফকে বলা হয়েছে। সীমান্ত একটি স্পর্শকাতর ইস্যু।'
গত ৩০ জুলাই ঢাকায় সফরকালে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হওয়াবিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সীমান্ত পাড়ি দেওয়া ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে যাতে কোনো অবস্থাতেই গুলি ছোঁড়া না হয়, সেজন্য বিএসএফ জওয়ানদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনা দেওয়ার পর এ বছর সীমান্তে নিহতের সংখ্যা সাতে নেমে এসেছে। বিএসএফ জওয়ানরা হামলার শিকার হয়ে আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়েছে বলে তিনি জানান।
হত্যা বন্ধে ভারতীয় কৌশল : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধে কয়েক মাস আগে বিএসএফ পরীক্ষামূলকভাবে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দৃশ্যত ওই বাহিনীর গুলিতে হতাহতের ঘটনা কমেছে। কিন্তু বিএসএফের উপস্থিতিতে সীমান্তে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকদের অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগের। কার স্বার্থে কে ওই অস্ত্রের জোগান দেয়, তার অনুসন্ধান করা উচিত।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম কেবল আত্মক্ষার্থেই বিএসএফ গুলি চালায় বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা খুব একটা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন না ওই কূটনীতিক। তিনি বলেন, প্রতিটি হতাহতের ঘটনাতেই বিএসএফ আত্মরক্ষার্থে গুলি করেছে বলে দাবি করে থাকে। অথচ হতাহতদের নিরস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায়।
বিজিবির সাবেক এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, মারণাস্ত্রের বিকল্প ব্যবহারের কথা শুনে তিনি খুব একটা আশাবাদী ছিলেন না। সবাই গুলি বন্ধের দাবি করে। কিন্তু গুলি ছাড়াও শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে হতাহতের অনেক ঘটনা ঘটে। এগুলোও বন্ধ হওয়া উচিত।
গত ২২ জুন বিএসএফের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে মারণাস্ত্রের বিকল্প ব্যবহার শুরুর কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএসএফ জওয়ানদের হাতে পাম্প অ্যাকশন গান বা ছড়রা বন্দুক তুলে দেওয়া হয়েছে, যা সাধারণত ছোট আকারের পাখি মারার কাজে ব্যবহার করা হয়।
বিএসএফের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশিদের নিতম্বে ইনজেকশনের মাধ্যমে পেট্রল পুশ করার অভিযোগও উঠেছে। জানা গেছে, যশোর জেলার শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী ধান্যখোলা গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৬), মিজানুর রহমানের ছেলে শাহিন (২৫) ও ময়েনুদ্দিনের ছেলে মুলফিক্কারকে (২৫) বিএসএফ গত ১৬ জুন রাতে হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নিতম্বে দুই সিরিঞ্জ করে পেট্রল পুশ করে।
ঢাকায় আজ থেকে সীমান্ত সম্মেলন
গত ৩০ জুলাই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা স্বাক্ষর হয়। এ ছাড়া গত ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ঢাকা সফরের সময় '৭৪-এর স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য একটি প্রটোকল স্বাক্ষর হয়। এবারের সীমান্ত সম্মেলন ওইসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা ও আহত করা, অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম বা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ, বাংলাদেশিদের আটক ও ধরে নিয়ে যাওয়া, বাংলাদেশি নাগরিক অপহরণ ইত্যাদি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ভারতীয় প্রতিনিধিদলে থাকবেন বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি), ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সম্মেলন উপলক্ষে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএসএফ মহাপরিচালকের স্ত্রীও বাংলাদেশ সফর করবেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির উপমহাপরিচালক, পরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ), সংশ্লিষ্ট সেক্টর কমান্ডার, বিজিবি সদর দপ্তরের স্টাফ অফিসার ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন্স (জেআরডি) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

No comments:

Post a Comment