Monday, February 11, 2013

সি-বিচ এলাকা নিয়ন্ত্রণহীন

টেকনাফ-কক্সবাজার সি-বিচ এলাকা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। সরকার এটিকে প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করলেও প্রতিনিয়ত ঘটছে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড।
পরিবেশ অধিদপ্তরসহ একাধিক বেসরকারি সংস্থা এসব এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন, অভিযোজন ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এসব এলাকায় চলছে দলবল নিয়ে লোকজনের প্রাকৃতিক পাথর উত্তোলন, পোনা আহরণ, বিচ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণসহ পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড। রোববার সিভিএ ইসিএ প্রকল্পের আওতায় ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট সমাজভিত্তিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা শেষে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে গেলে টেকনাফ সৈকতে পরিবেশ বিধ্বংসী বিভিন্ন কাজের চিত্র ধরা পড়ে। পরিদর্শনকালে বাহারছড়া হাজমপাড়া ইসিএ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়। কচ্ছপিয়া সি-বিচ এলাকা থেকে নারী-পুরুষ ও শিশুরা প্রাকৃতিক পাথর উত্তোলন করতে দেখে পরিবেশ অধিদপ্তর ও নেকমের কর্মকর্তা ও কর্মীরা তাদের ধাওয়া করে বন্ধ করে দেয়। এছাড়া সি-বিচ এলাকার বিভিন্ন স্থানে খুঁটি পুঁতে নেট জাল ব্যবহার করে পোনা আহরণ ও ঝাউগাছের বাগানে অবৈধ রোহিঙ্গার বসবাস এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। নির্বিঘ্নে চলছে সাগরে মাছ শিকাররত নৌকা ও ট্রলার, অবাধ কারেন্ট জালের ব্যবহার। এসব কিছু মিলে প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকাটি (ইসিএ) নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। এসব বিষয়ে অচিরেই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, কক্সবাজারস্থ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম। এর আগে সকালে টেকনাফ বন্দর সংলগ্ন কেরুনতলা পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সিআইডি আবদুল মালেক, এনআরএমও হাসিবুর রহমান ও টেকনাফ নেকম ইনচার্জ নারায়ণ দাস।

No comments:

Post a Comment