Friday, January 21, 2011

সেবাখাতে দুর্ণীতির জরিপ : প্রাসঙ্গিক ভাবনা by আল-আমীন চৌধুরী

দুর্ণীতি ক্যান্সারের মত আমাদের সমাজ দেহকে নি:শব্দে-নীরবে কুরে কুরে খেয়ে যাচ্ছে দশকের পর দশক। অসহায় নিরীহদের বেদনার করুণ আর্তি মাঠেঘাটে ও মুখে মুখে শোনা গেলেও এ নিয়ে সমাজে খুব একটা উচ্চবাচ্য নেই। যেন সব গা সওয়া হয়ে গেছে।

কিন্তু পঙ্কিলতায় এ দুনর্ীতির ব্যাপ্তির খবর বা প্রতিবেদন যখন প্রকাশ্যে পেশ করা হয় তখনই কেবল সরকারের ও সমাজের উঁচু মহলে সরগোল ও হৈ-চৈ পড়ে যায়। দশ বছর আগ থেকে যখন ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে পাঁচবার দুনর্ীতিতে সারাবিশ্বে শীর্ষস্থান অধিকার করেছিল তখনও দেখেছি একই অবস্থা। সরকারপক্ষের নেতারা প্রতিবারই সরোষে রিপোর্টটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছিল। একবার (যতদূর মনে পড়ে ২০০৫ সালে) তো ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর কর্মকর্তাদের ধমকিয়ে যখন সরকার জানতে পারল টিআইবি শুধুমাত্র তাদের জার্মানীস্থ সদর দপ্তর কর্তৃক প্রণীত প্রতিবেদনটিই প্রকাশ করেছে তখন সরকারের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী সুদূর জার্মানীতে পাড়ি জমিয়েছিলেন এহেন প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে। অন্যদিকে বিরোধীদল প্রতিবারই একশ' ভাগ সমর্থন দিয়ে প্রতিবেদনকে প্রশংসা করেছে। পত্রিকান্তরে এ সম্পর্কে একাধিকবার লিখেছিও। তবে বিগত ২৩ ডিসেম্বর টিআইবি সেবাখাতে দুনর্ীতির যে প্রতিবেদন পেশ করেছে তা পূর্বোক্ত প্রতিবেদন প্রেক্ষিত ও বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে যেমন ভিন্ন তেমনি এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ার ধরন, বরণ এবং মাত্রাও আলাদা।

১৩টি সেবাখাতে দেশের ছয় হাজার খানা বা পরিবারের উপর জরিপ চালিয়ে দুনর্ীতির এ রিপোর্ট তৈরি হয়েছে টিআইবি'র নিজস্ব উদ্যোগে; ২০০৭ সালের অবস্থার সাথে ২০০৯-১০ সালের তুলনামূলক একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এতে; বিচার ব্যবস্থা ও সরকারি বিভাগের সাথে সাথে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিওদের কার্যক্রমও অন্তভর্ুক্ত হয়েছে জরিপে। প্রতিক্রিয়ার দিক দিয়ে এবার সরকার ও বিরোধীদল প্রায় অভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে প্রতিবেদনে দুনর্ীতির শীর্ষে বিচার বিভাগ চলে আসায় সরকারপক্ষ ও বিরোধী আইনজীবীরা একে তথ্যনির্ভর নয় বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। শুধু তাই নয়, কুমিলস্না ও চট্টগ্রামে টিআইবি'র তিন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং চট্টগ্রামে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। সর্বশেষ সুপ্রীম কোর্ট টিআইবি'র প্রতিবেদনের তথ্য উপাত্ত চেয়েছেন। এদিকে জরিপ প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন এবং এটা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করার কোন ষড়যন্ত্র কিনা তা তদন্ত করার দাবীও জানিয়েছে তারা। মোট কথা এবারের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত প্রবল এবং নির্দ্বিধায় বলা যায় টিআইবি তোপের মুখে পড়েছে।

দুনর্ীতিতে আমরা এখন বিশ্বসেরা না হলেও যে প্রথম কাতারে আছি তা অনস্বীকার্য। সেবাখাতগুলোর পরতে পরতে দুনর্ীতির যে বসতি গড়ে উঠেছে তাও কারো অবিদিত নয়। এ পটভূমিতে সেবাখাতে দুনর্ীতির বিষয়ে সারাদেশের শহর-গ্রামে ছয় হাজার পরিবারের উপর পরিচালিত জরিপের নানান তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রণীত টিআইবি'র প্রতিবেদনটি প্রকৃতপক্ষে সরকারের সর্বোচ্চ মহল, সংশিস্নষ্ট বিভাগসমূহ সরকারের আওতা বহির্ভূত বিভাগ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সকল সচেতন নাগরিকের বিচার-বিশেস্নষণ ও বিবেচনার দাবী রাখে। পরিসংখ্যান পদার্থ বা রসায়নিক তত্ত্বের ন্যায় সম্পূর্ণ নির্ভুল না হতে পারে বা তার পদ্ধতিতে কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে" তবে এ প্রতিবেদনটি আলোচ্য বিষয়টির বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা দিয়েছে নি:সন্দেহে। তাই উষ্মা ও ক্ষোভের বশবতর্ী হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেটিকে প্রত্যাখ্যান না করে সেখানে প্রদত্ত ধারণা সূচক দেখে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সংস্কারের মাধ্যমে বিদ্যমান অবস্থার উন্নতি সাধন করাই হবে সকল পক্ষের জন্য সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত কাজ।

বর্ণিত পরিপ্রেক্ষিতেই টিআইবি রিপোর্টটির কয়েকটি খাতে ২০০৭ সালের চেয়ে ২০১০ সালে তুলনা মূলক বা আপেক্ষিকভাবে কি পরিবর্তন তথা উন্নতি-অবনতি হয়েছে তা পর্যালোচনা করা দরকার। ১৩টি সেবাখাতের মধ্যে ২০০৯-১০ সালে বিচার বিভাগে গিয়ে হয়রানি, অনিয়ম, ঘুষ তথা দুর্নীতির শিকার হয়েছে ৮৮ শতাংশ মানুষ অথচ ২০০৭ সালে হয়েছিল ৪৭ শতাংশ বিচারার্থী অর্থাৎ এখাতে তিন বছর আগের তুলনায় দুর্নীতির পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণের প্রায় কাছাকাছি। আয়কর ও শুল্ক বিভাগে বেড়েছে দ্বিগুণ। বিদু্যৎখাতে প্রায় ৫০ শতাংশ ও ভূমি প্রশাসনে শতকরা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে একই সময় শিক্ষাখাতে দুর্নীতি কমেছে ৬০ শতাংশেরও বেশি তেমনি কমেছে স্বাস্থ্যখাতে ২৫ শতাংশ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় প্রায় ২০ শতাংশ। তাহলে উপরোক্ত আটটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে তিন বছরের ব্যবধানে দেখা যাচ্ছে ৪টি তে দুর্নীতির পরিমাণ উলেস্নখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে আবার অন্য ৪টিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পরিমাণে কমেছে। তাই সংশিস্নষ্ট বিভাগসমূহের ও সরকারের নীতি-নির্ধারক মহলের প্রয়োজন এসব তথ্য-উপাত্ত বিচার-বিশেস্নষণ করে দুনর্ীতির এ হ্রাস-বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা। মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারক থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাস্তবায়নকারী সংস্থার প্রধান নির্বাহী থেকে সর্বনিম্ন মাঠকর্মীর সততা, দক্ষতার জন্য, ভাল কাজের জন্য পুরস্কার আর খারাপ কাজের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা প্রয়োগ করার কারণে অথবা কর্মপদ্ধতি সহজীকরণের এবং আইন-কানুন ও প্রশাসন ব্যবস্থার ফাঁক-ফোঁকর বন্ধ করে দুর্নীতির সুযোগ কমিয়ে আনার কারণে সংশিস্নষ্ট বিভাগসমূহে দুর্নীতি হ্রাস পেয়েছে, না কি উলেস্নখিত সবক'টি বা কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ উন্নতি অর্জিত হয়েছে তা জানা দরকার। যাতে করে অন্যাখাতেও অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করে উন্নয়ন সাধন করা যায়। অন্যদিকে দেখতে হবে উপরোক্ত গুণাবলী বা উপযুক্ত ব্যবস্থা বা পদ্ধতির অভাবে বা অনুপস্থিতির কারণে অবস্থার অবনতি হয়েছে কি না। কারণ জানা গেলে সেক্ষেত্রেও দুনর্ীতি হ্রাসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে। এসব কথা বলার অর্থ এ নয় যে, যেসব খাতে দুনর্ীতি কমেছে তা যথেষ্ট। মোটেই তা নয়, ঐসব খাতেও দুনর্ীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে অনেক দেরি, তবে হ্রাসের প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও শুরু হয়েছে বলতে হবে। যাক সে কথা। আগে এ সংজ্ঞা ব্যবহার করে একটি দেশের দুনর্ীতির পরিমাপ করা হতো যে" সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুবিধা লাভ করাই হলো দুনর্ীতি। অন্য কথায় দুনর্ীতি শুধু যেন সরকারি খাতেই হয়ে থাকে, বেসরকারি খাতে সংঘটিত হয় না। টিআইবির আলোচ্য রিপোর্ট থেকে দেখা যায় বেসরকারি অর্থ লগ্নীকারী ও এনজিওখাতে জনসাধারণ দুনর্ীতির শিকার হয়ে (অপেক্ষাকৃত কম হারে হলেও) থাকে। তবে বেসরকারি খাতে দুনর্ীতির সবচেয়ে মারাত্মক শিকার হয়ে থাকে বিদেশে চাকরি লাভের জন্য বিদেশগামী সাধারণ মানুষ। নির্ধারিত পরিমাণ থেকে তাদের প্রত্যেককে গড়ে লক্ষাধিক টাকা পরিশোধ করতে হয়।

এবার টিআইবি রিপোর্টের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলতে হয়। প্রথমেই আসে বিচার ব্যবস্থা বা বিভাগের দুনর্ীতির কথা। এটি ভিত্তিহীন ও গ্রহণযোগ্য নয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। স্মর্তব্য যে আইনসভা, প্রশাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ হলো রাষ্ট্রের তিন মৌল ভিত্তি। এর তিনটিই হলো পৃথক ও স্বাধীন। বিশেষ করে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হয়ে যাওয়ার পর শুধুমাত্র প্রশাসন বিভাগই সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই টিআইবির প্রতিবেদনের বিচার বিভাগ সম্পকর্ীয় অংশে সরকারের পক্ষ থেকে আগ বাড়িয়ে কিছু বলাকে অনেকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর সরকারের প্রছন্ন হস্তক্ষেপ বলে মনে করতে পারে। সরকারি, বেসরকারি আইনজীবীগণ বা জুডিশিয়াল এসোসিয়েশন বিচার বিভাগের সংশিস্নষ্ট বলে তাদের প্রতিক্রিয়া প্রাসঙ্গিক ও বোধগম্য। অবশ্য জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের যে প্রতিবাদলিপি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছে সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের বিচারকরা এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যরা বিচার বিভাগের অন্তভর্ুক্ত হবেন। সংবিধান অনুযায়ী আদালতের আইনজীবী, মোহরার ও কর্মচারীরা বিচার বিভাগের অন্তভর্ুক্ত নন, অথচ টিআইবির প্রতিবেদনে তাদের অন্তভর্ুক্ত দেখিয়ে দুনর্ীতির সূচক তৈরি করা হয়েছে। একথার সারবার্তা বুঝি ও মানি। কিন্তু সাধারণ জনগণ যখন বিচারের জন্য আদালতে যায় তখন বিচার বিভাগ সংশিস্নষ্ট ও সহযোগী পুরো বিচার প্রশাসনের মুখোমুখি হয়। তাই বিচার প্রাথর্ী হয়ে সার্বিকভাবে তাকে যে দুনর্ীতির শিকার হতে হয়, আমার বিশ্বাস, তারই ধারণা সূচক প্রণয়ন করা হয়েছে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে। তাছাড়া কর শুল্কসহ অন্যান্য প্রশাসনিক বিভাগ ও তাদের স্ব স্ব ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরকে সহকারী, পেশকার, ইন্সপেক্টর বা অন্য কর্মচারীদের থেকে পৃথক করে প্রায় অনুরূপ বিবৃতি দিতে পারে কিন্তু তাতে সেবাপ্রাথর্ী জনগণ সেবা পেতে সার্বিকভাবে সেসব বিভাগের যে দুনর্ীতির শিকার হয় তা কোনক্রমেই লাঘব হবে না বা তার পূর্ণাঙ্গ চিত্রও পাওয়া যাবে না। তদুপরি যে কোন সেবা খাতের কর্মচারী, সহযোগী বা সংশিস্নষ্টদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও সাধারণত উক্ত খাতের কর্মকর্তাদের উপর বর্তায়। বলা নিষ্প্রয়োজন যে টিআইবি বা কারো সাফাই গাইতে নয়, শুধু যুক্তির খাতিরেই উপরোক্ত কথাগুলো বলা হল। তবে এখানে একটি বিষয় উলেস্নখ করতে হয় যে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর সুষ্ঠু বিচার প্রশাসনের স্বার্থে সুপ্রীম কোর্টের অধিনে যে একটি শক্তিশালী সুপ্রীমকোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করার কথা ছিল বা সে মর্মে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের যে প্রস্তাব ছিল তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। সে কারণেও নানা ধরনের অনিয়ম বা হয়রানি সংঘটিত হয়ে থাকে বলে অনেকের ধারণা। কাজেই বিচার বিভাগে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগত সংস্কার এবং শক্তিশালী ও কার্যকর একটি সচিবালয় প্রতিষ্ঠা যত শীঘ্রই করা যাবে ততই মঙ্গল। শেষ কথা হল একটি দুনর্ীতিমুক্ত সমাজ গড়তে হলে চাই দুনর্ীতি দমন কমিশনের মত একটি প্রতিষ্ঠানের উপর দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংস্থাসমূহসহ সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা। কেননা দুনর্ীতি দমন কমিশন যত স্বাধীন ও কার্যকরই হোক না কেন দুনর্ীতি প্রতিরোধে তার চেয়ে বহুগুণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল সেবাখাতসহ সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজেদের। কমিশন মূলত ইতিমধ্যে সংঘটিত এবং তাদের নজরে আনীত দুনর্ীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে এবং তাতে দুনর্ীতি কিয়দাংশে নিরুৎসাহিত হয়। কিন্তু প্রত্যেকটি বিভাগে ও সংস্থায় প্রতিনিয়ত যে অসংখ্য অনিয়ম ও দুনর্ীতি হয় তা প্রতিহত করতে হলে প্রধানত প্রয়োজন প্রতিষ্ঠানসমূহের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা, ভাল কাজের জন্য পুরস্কারের এবং মন্দ কাজের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্তর কমানোসহ কার্যপদ্ধতি সহজীকরণ, একচেটিয়া ব্যবসা বা ক্ষমতার অবসায়ন, দুনর্ীতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং সর্বোপরি সরকারসহ রাষ্ট্রের অন্য অঙ্গসমূহের সদিচ্ছা ও ঐকান্তিকতা।

No comments:

Post a Comment