Friday, June 15, 2012

পুলিশের ভুলে ৯ বছর জেল খাটলেন কালা মিয়া

বিনা অপরাধে দীর্ঘ ৯ টি বছর কারাভোগের পর কক্সবাজারের জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মহেশখালী উপজেলার কালা মিয়া।

২০০৩ সালের ১৭ জুন কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তিনি কারাভোগ শুরু করেন।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, কালু নামের অপর এক ব্যক্তির বাবার নামের সঙ্গে মিল থাকার কারণে কালা মিয়াকে এ ৯ বছর বন্দী জীবন কাটাতে হয়েছে। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

কালা মিয়া বাংলানিউজকে জানান, তার নাম কালা মিয়া, পিতা- মৃত মিয়া হোসেন। তিনি মহেশখালী উপজেলার ছোট্ট মহেশখালী ইউনিয়নের মুদিছড়ার এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু কালু নামে অপর এক ব্যক্তির স্থলে তাকে জেল খাটতে হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার সেলিম জাহাঙ্গীর স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়েছে, ১৯৮৮ সালে কক্সবাজার সদর থানার অভিযোগপত্র ৩৩ আদালতে দাখিল করা হয়। ৪৬০/৩৮০/৩০২/৩৪ ধারার মামলাটি আদালতে দাখিলকালে সৈয়দুর রহমান নামের এক আসামিকেও আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এ মামলায় ১৯৯৬ সালের ৩১ জুলাই আদালত আসামি মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জেএমঘাট এলাকার বাসিন্দা খুইল্যা মিয়ার ছেলে কালুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।

কিন্তু ২০০৩ সালের ১৭ জুন কালুর বদলে কালা মিয়াকে কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর থেকে কালা মিয়া সাজাভোগ করতে শুরু করেন।

এদিকে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আল নোমান শরীফ বিষয়টি লিখিতভাবে বিভিন্ন দফতরে পাঠান। এরপর বিষয়টির তদন্ত করে জেলা পুলিশ সুপার গত ১৪ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জয়নুল বারী কালা মিয়াকে মুক্ত করার ব্যবস্থা নেন।

এদিকে, এ মামলায় ভুল ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

No comments:

Post a Comment