Thursday, January 13, 2011

কর্নেল তাহেরের বিচারঃ ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের অবস্থান জানান __ হাইকোর্ট

র্নেল তাহেরের বিচারে গঠিত সামরিক ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্যানেলের সদস্যদের বর্তমান অবস্থান জানাতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তাহেরের গোপন বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানিকালে আদালত এ আদেশ দেন। সংস্থাপন ও প্রতিরক্ষাসচিবকে এ ব্যাপারে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। আদেশে সামরিক ট্রাইব্যুনালের বেসামরিক সদস্য মো. আবদুল আলী, হাসান মোরশেদ এবং সামরিক সদস্য উইং কমান্ডার আবদুর রশিদ ও অ্যাক্টিং কমান্ডার সিদ্দিক আহমেদ সম্পর্কে জানাতে বলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের প্রধান কর্নেল ইউসুফ হায়দার ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন।
গতকালের আদেশে ১৯৭৫ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত সেনাসদস্যদের নাম-ঠিকানা ও বর্তমান অবস্থান জানাতেও সরকারকে নির্দেশ দেন আদালত। আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে তাঁদের ব্যাপারে তথ্য জানাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি ১৯৭৬ সালের ৪ জুন মোহাম্মদপুর থানায় তাহেরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহার ও অন্যান্য কাগজপত্র এই সময়ের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দেন আদালত।
বেলা আড়াইটায় আদালত এসব নির্দেশ দেন। তার আগে সামরিক আদালতে লে. কর্নেল এম এ তাহেরের গোপন বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের ওপর তৃতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে মাহমুদুর রহমান মান্না ও সার্জেন্ট সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
জিয়া ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে তাহেরকে ফাঁসি দেন : নিজের ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেওয়ার জন্যই ক্যাঙ্গারু আদালত বানিয়েছিলেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সামরিক আদালতে গোপন বিচারে খালাসপ্রাপ্ত মাহমুদুর রহমান মান্না গতকাল হাইকোর্টে এ বক্তব্য দেন।
মান্না বলেন, তাহেরের মৃত্যুই ছিল ওই বিচারের প্রধান লক্ষ্য। একই বিচারে মেজর জলিলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় তাঁর শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়। তবে তাহেরের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখা হয়। মান্না আরো বলেন, 'এটি ছিল সাজানো মামলা। আর ওই মামলায় কেন আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তা আজ পর্যন্ত আমি জানতে পারিনি।'
আদালতে ওই মামলার অপর আসামি সার্জেন্ট রফিকুল ইসলামও বক্তব্য দেন। তিনিও সামরিক আদালতের বিচারকে প্রহসনের বিচার বলে দাবি করেন। এ প্রহসনের বিচার করা হয় জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিস্বার্থ চারিতার্থ করার জন্য। একই মামলায় সামরিক আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হাসানুল হক ইনুও গতকাল আদালতে বক্তব্য দেন। আগের দিন কর্নেল তাহের ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন বক্তব্য দেওয়ার সময় জিয়াউর রহমানকে মীর জাফর আখ্যায়িত করেন।

No comments:

Post a Comment