Thursday, January 13, 2011

ভোজ্যতেলের দর বেঁধে দিতে পারেনি মন্ত্রণালয়

ভোজ্যতেলের উত্পাদন, বিপণন ও মূল্য-পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আজ বুধবার বৈঠকে বসেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতি পর্যালোচনা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে দামদর বেঁধে দেওয়া সম্ভব হয়নি। বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেন বলেন, ‘যে সূত্রের ওপর ভিত্তি করে দর পুনর্নির্ধারণ করা হয়, তাতে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানকে প্রধান করে গত মাসে যে কমিটি করা হয়েছিল, সেই কমিটি রোববারের মধ্যে একটি উপায় বের করবে। তারপর তা জানানো হবে।’ নয় সদস্যের কমিটিতে তিনজনই ব্যবসায়ী প্রতিনিধি বলে জানান বাণিজ্যসচিব।
বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্ব বৈঠকে ব্যবসায়ীদের দিক থেকে চাওয়া ছিল তৃতীয়বারের মতো ভোজ্যতেলের দর পুনর্নির্ধারণ করা। এর আগে দুবার ভোজ্যতেলের দর বাড়ানো হয়েছে ৭ ডিসেম্বর ও ২৩ ডিসেম্বর।
তবে বাজারে নির্ধারিত দরের চেয়ে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের যৌথ বৈঠকে যে দর নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা মানা হচ্ছে না। অসহায় ভোক্তারা বেশি দাম দিয়ে সয়াবিন ও পাম তেল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তার পরও ব্যবসায়ীরা চাচ্ছেন দর আরও বাড়াতে।
নির্ধারিত দর অনুযায়ী বাজারে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ৯০ টাকা আর পাম তেল ৮৬ টাকা দরে বিক্রি হওয়ার কথা। সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, আজ খোলা সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১০১ থেকে ১০৩ টাকা আর পাম তেল বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯২ টাকা লিটার দরে।
আজ আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেন এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি এ কে আজাদ বক্তব্য দেন। এর আগেই বৈঠক ত্যাগ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিক সমিতির সভাপতি এম এ রউফ চৌধুরীকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হলেও তিনি অসম্মতি জানান। তবে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেন বলেন, ‘নানা কারণে বাজারে ভোজ্যতেলের দর কিছুটা হলেও বাড়তি; যে হারে বেড়েছে তা উচিত ছিল না। আমাদের পাওয়া তথ্য ও গোয়েন্দা প্রতিবেদন মিলিয়ে দেখা গেছে, মিলগেটে দর অনেকটা মানা হয়েছে। খুচরা বাজারে তেমন একটা মানা হয়নি।’

No comments:

Post a Comment