Thursday, January 13, 2011

বিশ্বকাপে আশরাফুলের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে

‘দেশের হয়ে দেড়শর বেশি ওয়ানডে খেলা কোনো খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা একেবারেই হেলাফেলার বিষয় নয়। তাই আসন্ন বিশ্বকাপে আশরাফুলের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের বাংলাদেশ দলে প্রয়োজন রয়েছে।’ যাকে দলে নেওয়া না নেওয়া নিয়ে এ মুহূর্তে চারদিকে বিতর্কের ঝড় সেই মো. আশরাফুল সম্পর্কে এমনই মূল্যায়ন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের।

প্রথম আলো অনলাইনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ফারুক বলেন, ‘আশরাফুলের ব্যাপারে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। এটা ঠিক যে সে তাঁর প্রতিভা অনুযায়ী ধারাবাহিকতার সঙ্গে কখনো খেলতে পারেনি। তবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মতো আসরে আশরাফুলের অবশ্যই দলে থাকা উচিত। আমাদের ক্রিকেট এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি যে হুট করে দেড়শ ওয়ানডে খেলা একজন খেলোয়াড়কে আমি বাদ দিয়ে দেব। তাহলে তো ওর প্রতি ক্রিকেট বোর্ডের যে বিনিয়োগ তার পুরোটাই অপচয় হবে।’
আশরাফুলের ব্যাপারে নিজের সহানুভূতি থাকলেও দর্শক সমর্থকদের অনুভূতির ব্যাপারটিও আশরাফুলকে মাথায় রাখতে হবে বলেও মনে করেন ফারুক।
সাবেক প্রধান নির্বাচক হিসেবে বর্তমান নির্বাচক কমিটির মূল্যায়ন করতে গিয়ে ফারুক বলেন, ‘২০০৭ সালে আমরা যে পর্যায়ে দলকে রেখে এসেছিলাম, সেই পর্যায়ের তুলনায় প্রথম দিকে বর্তমান কমিটির কাজকর্ম একটু অগোছালো ছিল। হতে পারে, আইসিএল একটা সমস্যা সৃষ্টি করেছিল সে সময়। তবে এ মুহূর্তে সেই সমস্যা থেকে রফিকুল আলমের নেতৃত্বাধীন কমিটি অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে।’ এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও ভালো করবে বলেই ফারুক বিশ্বাস করেন।
বর্তমান নির্বাচক কমিটি ঠিক পথে এগোলেও নতুন তারকা তৈরির ক্ষেত্রে এই কমিটি বেশ পিছিয়ে আছে বলে মনে করেন ফারুক। তবে দল হিসেবে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হলে অতিরিক্ত পরিবর্তন কাম্য নয় বলেই তিনি মনে করেন।
তামিম ইকবালের সহ-অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া চমত্কার একটি সিদ্ধান্ত বলেই মানছেন ফারুক। তিনি মনে করেন, ক্রিকেটে সহ-অধিনায়কের ভূমিকাটা একজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের মতোই। তাই তামিমের মতো খেলোয়াড় এই ভূমিকায় দলকে দারুণ সাহায্য করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি। ফারুক আরও বলেন, একজন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান প্রথমে মাঠে নেমে ম্যাচের মেজাজটা অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে অনেক ভালো বোঝে। সেই হিসেবে তামিম দলকে ভালোই সাহায্য করতে পারবে।
সাকিবের অধিনায়ক হওয়া নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই বলে মনে করেন ফারুক। তিনি বলেন, সাকিবের রেকর্ডই বলে দেয় অধিনায়ক হিসেবে সে অবশ্যই ‘অটোমেটিক চয়েস’।
মাশরাফি বিশ্বকাপে খেলতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ফারুক। ফারুকের মতে, মাশরাফি খেলতে না পারলে তা হবে দলের জন্য একটা বড় আঘাত।
নিজে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ দলের অংশ হতে পারায় দারুণ গর্ব অনুভব করেন ফারুক আহমেদ। ফারুক তাঁর বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘নিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে প্রতিটি মুহূর্তই দারুণ উপভোগ করেছি। স্কটল্যান্ড আর পাকিস্তানকে হারানো মধুরতম অভিজ্ঞতা।’

No comments:

Post a Comment