Thursday, January 13, 2011

সময় এখন পূর্ণিমার

ত বছরের শেষের দিকে পূর্ণিমার ক্যারিয়ারের মোড় আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পরপর দুটি ছবির সাফল্য তাঁকে আবার আলোচনার শীর্ষে এনে দিয়েছে। রাতারাতি সব বড় নির্মাতা আবার তাঁর কাছে ভিড়তে শুরু করেছেন। কিন্তু পূর্ণিমার এখন আর শিডিউল দেওয়ার উপায়ও নেই।

হাতে আছে এক ডজনের মতো ছবি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম 'এই যে দুনিয়া কিসের লাগিয়া', 'জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার', 'রাজা সূর্য খাঁ', 'গরিবের দাম অনেক বেশি', 'সে আমার মন কেড়েছে', 'অস্ত্র ছাড় কলম ধর', 'আই লাভ ইউ', 'ছোট্ট সংসার', 'মায়ের বাড়ি' ইত্যাদি। প্রতিটি ছবিই বিগ বাজেটের এবং তারকাবহুল। তাই নির্মাতারা একটু সময় নিচ্ছেন। বাধ্য হয়ে পূর্ণিমাকেও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, 'আগের মতো আর দৌড়ঝাঁপ দিয়ে ছবি করার ইচ্ছে নেই। এখন খুব বেছে, বুঝেশুনে ছবি করতে চাই। ভালো নির্মাতা, ভালো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান না হলে অভিনয় করার প্রয়োজনই দেখি না।' প্রথম থেকেই পূর্ণিমার অভিনয়ের প্রশংসা চতুর্দিকে। এমনকি তাঁর শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত! পূর্ণিমার স্বামীই তাঁর অভিনয়ের বড় ভক্ত। এই তো গত ডিসেম্বরে, 'ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না' মুক্তি পেলে তিনি নিজেই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখে এসেছেন।
পূর্ণিমার সিদ্ধান্তগুলো এখন আর একা নিতে হয় না। যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে দুজনই সমান অংশ নেন। স্বামীর ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও পূর্ণিমা কম সাহায্য করেন না। ফলে কারো মাথার ওপর একক চাপ পড়ে না। সময় পেলেই রাত-বিরাত বেরিয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরতে। শুধু ঢাকা নয়, দুজনে ঠিক করেছেন বছরে অন্তত তিনবার বিদেশ যেতে হবে। এতে নাকি মন-মানসিকতা ভালো থাকে। কাজের প্রতি অবহেলাও কমে। দুজনে মিলে প্রতিদিনের একটি রুটিনও করেছেন ইতিমধ্যে। সে রুটিনে বেশ কয়েকটি কাজ আছে, যা বিনা অজুহাতেই করতে হবে। কোনোভাবেই 'আজ না কাল' করা যাবে না। যেমন_পূর্ণিমার ছবি মুক্তি পেলে তা দেখতে হবে প্রেক্ষাগৃহে। প্রথম দিনই। আবার যেদিন আকাশে চাঁদ উঠবে, সেদিন জোছনা পোহাতে হবে মাঝরাত্রি পর্যন্ত দুজনকেই।
কাল মুক্তি পাবে আহমেদ নাসিরের 'মায়ের জন্য পাগল'। পূর্ণিমার সঙ্গে আছেন মারুফ, ববিতা ও ইমন। পূর্ণিমা খুব আশাবাদী।

No comments:

Post a Comment