Saturday, January 15, 2011

আইভরি কোস্টে জাতিসংঘের গাড়িতে আগুন দিল বাগবোর সমর্থকেরা

ইভরি কোস্টের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট লরা বাগবোর সমর্থকেরা গত বৃহস্পতিবার রাজধানী আবিদজানে জাতিসংঘের গাড়িবহরে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতাকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে লক্ষ্য করে বাগবোর ক্রমবর্ধমান সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এ হামলা চালানো হলো।

হামলার ঘটনায় ওয়াশিংটন ও জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের পক্ষ থেকে কঠোর নিন্দা জানানো হয়। জাতিসংঘ জানায়, বাগবো বাহিনীর এ আগ্রাসন যুদ্ধাপরাধের শামিল। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর আইভরি কোস্টে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাগবো ও বিরোধী নেতা আলাসেন ওয়াতারা উভয়েই নিজেদের বিজয়ী বলে দাবি করেন। তবে জাতিসংঘ ওয়াতারাকে দেশটির বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সঙ্গে বাগবোর উত্তেজনা বাড়ছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র মার্টিন এক বিবৃতিতে জানান, মহাসচিব বান কি মুন আইভরি কোস্টের ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাগবোর অনুগত নিয়মিত-অনিয়মিত সেনা ও সমর্থকেরা জাতিসংঘের গাড়িতে হামলা চালাচ্ছে এবং আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে আবিদজানে এ রকম ছয়টি ঘটনা ঘটে। সেখানে জাতিসংঘ মিশনের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি আবিদজানে অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে বলে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আইভরি কোস্টে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাগবোর সমর্থকদের হামলায় জাতিসংঘের দুটি গাড়ি পুড়ে যায় এবং একটি অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্য তিনটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে অসুস্থ এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল।’ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাগবোর শিবির বর্তমানে জাতিসংঘ ও শান্তিরক্ষী বাহিনীর শত্রুশিবিরে পরিণত হয়েছে। আগে তারা মৌখিক অপপ্রচার চালাত। কিন্তু এখন সরাসরি হামলা চালাচ্ছে।’
আইভরি কোস্টে নিয়োজিত জাতিসংঘের কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি দিন দিন উসকানিমূলক হয়ে উঠছে। বাগবোর অনুসারী সেনারা তাঁদের কৌশল পাল্টে জনতাকে জাতিসংঘের সেনাদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছেন। তাঁরা জনতাকে জাতিসংঘের গাড়িতে হামলা চালাতে উৎসাহিত করছেন।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা আরও জানান, জনতার ওপর গুলি চালাতে বাগবো জাতিসংঘের সেনাদের উসকানি দিচ্ছেন, যাতে দেশে জাতিসংঘের সেনাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। রয়টার্স, এএফপি।

No comments:

Post a Comment