Saturday, January 15, 2011

বাংলাদেশ বিমানের প্রতি বৈরী আচরণ পাকিস্তানের

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি পাকিস্তান অন্যায় আচরণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশটির ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ বিমানের যাত্রীদের আগমন ও নির্গমন উভয় ক্ষেত্রেই কর দাবি করছে। অথচ পাকিস্তানে অবতরণকারী অন্য সব এয়ারলাইনসের কাছ থেকে শুধু নির্গমন কর আদায় করা হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দ্বিমুখী কর বন্ধ করার দাবি করেছে। কিন্তু তাতে সাড়া দিচ্ছে না সে দেশের বোর্ড অব রেভিনিউ। বিমান সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহম্মদ জাকিউল ইসলাম গত বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের প্রতি অন্যায় আচরণ করছে। সে দেশে অবতরণকারী অন্যান্য এয়ারলাইনসের জন্য এক নিয়ম আর আমাদের জন্য ভিন্ন নিয়ম। বিষয়টি আমরা ফয়সালা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। সরকারকে কূটনৈতিকভাবে এই সমস্যার সমাধান করার অনুরোধ করেছি।’
বিমান সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান শুধু সে দেশ থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীদের ওপর নির্দিষ্ট হারে সব এয়ারলাইনসের কাছ থেকে কর আদায় করে। অন্যান্য এয়ারলাইনসের মতো বাংলাদেশ বিমানও প্রতিবছরই এই কর পরিশোধ করছে। কিন্তু সম্প্রতি যাত্রীদের আগমন-নির্গমন উভয় করই দাবি করে ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ। যাত্রীদের পাকিস্তানে আগমনী কর দাবি করা হয়েছে প্রায় ছয় কোটি ৩১ লাখ ৯৭ হাজার পাকিস্তানি রুপি।
গত সপ্তাহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে, পাকিস্তানের এ দাবি সম্পূর্ণ নীতিবিরোধী। পাকিস্তানের বোর্ড অব এয়ারলাইনস রিপ্রেজেনটেটিভ ইন পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে সে দেশের সরকারের কাছে এ ধরনের আচরণ বন্ধের জন্য দ্বিতীয় দফা আপিল করলে তাতেও সাড়া দেয়নি পাকিস্তান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য এবং এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই যাত্রীদের আগমন ও নির্গমন কর নেই। সব দেশই এয়ারলাইনসগুলোর কাছ থেকে তাদের যাত্রীদের নির্গমন কর আদায় করে থাকে। পাকিস্তান বাংলাদেশ বিমানের কাছ থেকে দুই ধরনের কর চাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল আইনের পরিপন্থী।’
জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাকিস্তানের করাচিতে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করে। মঙ্গলবার ও শুক্রবার এ ফ্লাইট দুটি চলাচল করে।

No comments:

Post a Comment