Sunday, January 02, 2011

উড়াল সড়কের কার্যাদেশ চূড়ান্ত করতে বাধা নেই

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে প্রকল্পের অধীনে উড়াল সড়ক নির্মাণের চূড়ান্ত কার্যাদেশ দেওয়া এবং তার আগের কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আজ রোববার এ নিয়ে শিকদার রিয়েল এস্টেট-কেসিসিজেভি লিমিটেডের আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করাসংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

রুলের নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে পক্ষগুলোকে রুল নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
আজ প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ সেতু কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালতে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম জহির ও মোস্তাফিজুর রহমান খান।
জানা যায়, গত বছরের ৬ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এয়ারপোর্ট-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের কুতুবখালী পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সেতু কর্তৃপক্ষের দরপত্র আহ্বানের পর ওই বছরের ২৩ নভেম্বর প্রাক-যোগ্যতাসম্পন্ন চার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি দরপত্র জমা দেয়। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ও শিকদার রিয়েল এস্টেট। একই দিন দরপত্র মূল্যায়নের জন্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
জানা গেছে, কমিটি কারিগরি প্রস্তাব মূল্যায়নের জন্য সাতটি মানদণ্ড নির্ধারণ করে। শিকদার রিয়েল এস্টেট সাতটি মানদণ্ডের মধ্যে তিনটি পূরণে ব্যর্থ হয়। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর কমিটি যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় শিকদার রিয়েল এস্টেটের আর্থিক প্রস্তাব ফেরত পাঠানোর সুপারিশ করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শিকদার রিয়েল এস্টেট রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ডিসেম্বর আদালত শিকদারের আর্থিক প্রস্তাব খোলা ও তা কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করতে পারে বলে আদেশ দেন। এতে স্থগিতাদেশ চেয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করলে গত ২৯ ডিসেম্বর আদালত বিষয়টি আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। সকালে আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।

No comments:

Post a Comment