Wednesday, December 15, 2010

 হাইকোর্টের রায় কার্যকর না করা পর্যন্ত জাহাজ আমদানি বন্ধ

জাহাজ ভাঙা শিল্পের ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে দেওয়া হাইকোর্টের রায় কার্যকর না করা পর্যন্ত জাহাজ আমদানি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই রায়ের আলোকে স্বাস্থ্য-ঝুঁকি এড়াতে তিন মাসের মধ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রসায়নবিদ, পদার্থবিদ, পরিবেশবিদ, আইনবিদ, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এর আগে ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ ও চলতি বছরের ১১ মে হাইকোর্ট কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে জাহাজ আমদানির ক্ষেত্রে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও বর্জ্যমুক্তকরণ সনদ নেওয়ার কথা বলা হয়। একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত ছয়টি আইনের অধীনে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে বলা হয়। সেই সঙ্গে এসব বিষয় তদারকি করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
জানা যায়, সম্প্রতি বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত একটি খসড়া তৈরি করেছে সরকার। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ২২টি জাহাজ আমদানি করা হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায় অনুসরণ করা হয়নি। তাই হাইকোর্টের ওই রায়ের আলোকে নীতিমালা প্রণয়ন, নীতিমালা তৈরি না করা পর্যন্ত জাহাজ আমদানি বন্ধ ও ইতিমধ্যে আনা জাহাজগুলো না ভাঙার নির্দেশনা চেয়ে গত রোববার বেলা হাইকোর্টে আবেদন করে। এ আবেদনের ওপর দুই দিনের শুনানি শেষে আজ আদালত আদেশ দেন।
আদেশে আদালত বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জাহাজ আনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য-ঝুঁকি না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ইতিপূর্বে দেওয়া রায় অনুসরণ করতে হবে। ওই রায় অনুসরণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশের জলসীমায় কোনো জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে না।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ইকবাল কবির, শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে রোকনউদ্দিন মাহমুদ, আনিসুল হক ও শেখ ফজলে-নূর তাপস মামলা পরিচালনা করেন।

No comments:

Post a Comment