Sunday, December 05, 2010

যা পড়ছি যা লিখছি by হায়াৎ মামুদ

ড়াশোনা ছাড়া আর তো কিছু করতে শিখিনি। বন্ধুদের আমন্ত্রণে পানের দাওয়াতে মাঝেমধ্যে যাই। তবে বয়স বাড়লে যোগাযোগটা কমেই যায়। ঢাকা শহরে যখন-তখন বেরোনো যায় না। হাসান আজিজুল হকের সাক্ষাৎকার নিয়ে একটা বই বেরোচ্ছে। উন্মোচিত হাসান। এই বইটি আমি সম্পাদনা করছি। আমাদের দেশে তো প্রকৃত সম্পাদনা হয় না বললেই চলে। আমাদের দেশে সম্পাদনার যথার্থ কৌশল অবলম্বন না করেই বেশির ভাগ সম্পাদনাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থটি সম্পাদনার ক্ষেত্রে আমি যথাযথ নিয়মের দিকটি লক্ষ রেখেছি।
সম্প্রতি যে বইগুলো উল্টেপাল্টে দেখেছি, সেগুলো হলো রফিক আজাদের 'অন্তরঙ্গ দীর্ঘশ্বাস', ওয়াসি আহমেদের 'ত্রিসীমানা', জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের 'সময় ভোলে না কিছু', মোহাম্মদ সাদিকের গবেষণাগ্রন্থ 'সিলেটের নাগরী হরফ : ফকিরি ধারার ফসল এবং জাকির তালুকদারের 'মুসলমানমঙ্গল'।
আমার লেখার ব্যাপারটা হলো যে আমি নিজেকে লেখক মনে করি না, মানি না। অল্প বয়সে লিখতাম, উদ্দীপনা থাকত; এখন এই বয়সে তা নেই। সমরেশ বসুর মতো বড় লেখকের এখন কোনো বই প্রকাশিত হয় না। পড়তে গিয়ে, কাজ করতে গিয়ে কিছু কিছু লিখছি। বিভিন্ন সম্পাদনাগ্রন্থের ভূমিকা লিখছি। সোজা কথা, আমার কিছু এখন লিখতে ইচ্ছে করে না। আমার পড়তেই ভালো লাগে। সিনেমা দেখতে ভালো লাগে। তলস্তয়ের জীবনীগ্রন্থ 'লিয়েফ তলস্তয়' নামে ১৯৯১ সালে আমার একটা বই প্রকাশিত হয়েছিল একাডেমী প্রেস থেকে । এবার তা পুনর্মুদ্রণের আশা করি। বর্তমানে রবীন্দ্রনাথের জীবনী নিয়ে কাজ করছি।

No comments:

Post a Comment