Saturday, January 22, 2011

ভূস্বামীদের তালিকা হচ্ছে

ব্যক্তি মালিকানায় একশ' বিঘার বেশি জমি না রাখা সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে তা প্রয়োগ করার সুপারিশ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আগামী জুন মাসের মধ্যে যারা একশ' বিঘার বেশি ভূ-সম্পত্তির মালিক তাদের তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে, ব্যক্তি মালিকানায় ৬০ বিঘার অতিরিক্ত অব্যবহূত কৃষি জমি যাদের আছে তারা জমি দিয়ে কি করবে তা সরকারকে জানাতে হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে জানাতে ব্যর্থ হলে সরকার সে জমি অধিগ্রহণ করবে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে আ,ক,ম, মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকশেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, এসএএন্ডটি অধ্যাদেশ বা জমিদারি অধিকরণ ও প্রজাস্বত্ব আইন-১৯৫০, প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার-৭২ এবং ভূমি অধ্যাদেশ-১৯৮৪ অনুযায়ী কোন ব্যক্তি একশ' বিঘার বেশি ভূ-সম্পত্তি রাখতে পারবে না। বহুদিন ধরেই এ সংক্রান্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।

তিনি বলেন, একজন সবের্াচ্চ ৬০ বিঘা কৃষি জমি ও সবের্াচ্চ ৪০ বিঘা অকৃষি জমির মালিক থাকতে পারবেন। কেউ এর বেশি ভূ-সম্পত্তির মালিক হলে সরকার তার বাড়তি জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে যা সরকারি খাস জমি হিসেবে গণ্য হবে। দীর্ঘদিন ধরে এই আইন বিদ্যমান থাকলেও আজ অবধি তার যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হয়নি। কমিটি এই আইন কার্যকর করার সুপারিশ করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা বেশি জমির মালিক তারা নিজেদের পছন্দ মতো জায়গা থেকেই একশ' বিঘা জমি রাখতে পারবেন। তবে অবশিষ্ট জমি সরকারকে অবশ্যই দিয়ে দিতে হবে।

বিপুল পরিমাণ জমি অব্যবহূত থাকায় দেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই আইন কার্যকর হলে বৈষম্য কমে আসবে বলেও মনে করে সংসদীয় কমিটি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আবাসন প্রকল্পের নামে অনেক এলাকার নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকদের নিচু জমি ভরাট বন্ধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করতে। সেই সাথে বিভিন্ন এলাকায় দখল হয়ে যাওয়া খাল উদ্ধারের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কমিটির সভাপতি বলেন, বৈঠকে তিনটি সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজধানীতে ৪৩টি খালের জমি বিভিন্ন ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়েছে বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি। এর সাথে জড়িতদের খুঁজে করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলের খতিয়ান বিক্রির অনিয়ম ও ময়মনসিংহের ভূমি সংক্রান্ত অপর এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরো দুটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment