Friday, January 14, 2011

রাজশাহী ও রংপুরের ৭২টি পৌরসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত বেসরকারি ফল

ত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগ রাজশাহী ও রংপুরের ৭২টি পৌরসভার নির্বাচনে গতকাল বুধবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চূড়ান্ত বেসরকারি ফলাফলে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা ৩৫টি পৌরসভায় মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ২৩টি পৌরসভায়। পাঁচটি পৌরসভায় জামায়াতে ইসলামী ও দুটি পৌরসভায় জাতীয় পার্টি (এরশাদ) সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। নির্দলীয় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন সাতটি পৌরসভায়।

সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে আমলে নেওয়ার মতো কোনো অভিযোগ কমিশনের কাছে আসেনি। তবে তীব্র শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি প্রত্যাশার থেকে কিছুটা কম ছিল। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও বলেছে, ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেসরকারি ফলাফল
রাজশাহী: ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক পাঁচ হাজার ৭১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন তিন হাজার ৯৭৫ ভোট। তাহেরপুরে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লাগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। তিনি পেয়েছেন তিন হাজার ৭৫২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু নঈম শামসুর রহমান পেয়েছেন তিন হাজার ৪৪৭ ভোট। আড়ানিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ৩১৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম পেয়েছেন তিন হাজার ৮৫ ভোট। চারঘাটে নির্দলীয় প্রার্থী নার্গিস খাতুন ছয় হাজার ৯৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী জাকিরুল ইসলাম পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৭১০ ভোট। দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন পাঁচ হাজার ৫৫৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আকবর আলী পেয়েছেন চার হাজার ৪৩০ ভোট। কাটাখালীতে জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মাজেদুর রহমান পাঁচ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম বিএনপির সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন চার হাজার ৪৭০ ভোট। কাকনহাটে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবদুল মজিদ। তিনি পেয়েছেন তিন হাজার ৪০২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-সমর্থিত ইসমাইল খান পেয়েছেন দুই হাজার ৬২০ ভোট। কেশরহাটে বিএনপি-সমর্থিত বিদ্রোহী প্রার্থী আলাউদ্দিন আলো সাত হাজার ৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুজ্জামান শহীদ পেয়েছেন চার হাজার ৩৬৭ ভোট। গোদাগাড়ীতে জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ছয় হাজার ১৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন চার হাজার ৪০৯ ভোট।
তানোর পৌরসভায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী আবুল হাসনাত মোখলেসুর রহমান ওরফে ফিরোজ সরকার ছয় হাজার ৮৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ওরফে প্রদীপ সরকার পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৮৫ ভোট। মুন্ডুমালা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী গোলাম রাব্বানী চার হাজার ৬৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী শিশ মোহাম্মদ পেয়েছেন তিন হাজার ২১৪ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী মাওলানা আবদুল মতিন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হারিয়েছেন জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী লতিফুর রহমানকে। রোহনপুরে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। তাঁর কাছে হেরেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত-প্রার্থী জালালউদ্দিন আকবর। নাচোলে বিজয়ী হয়েছেন নির্দলীয় প্রার্থী আবদুল মালেক চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন দুই হাজার ৭৩৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান পেয়েছেন এক হাজার ৩৫০ ভোট। শিবগঞ্জে বিএনপি-সমর্থিত শামীম কবির ১০ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মো. কারিবুল হক পেয়েছেন আট হাজার ১৪ ভোট।
নাটোর: নাটোর পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত এমদাদুল হক আল মামুন। তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৬৩০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কামরুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ হাজার ৮০৬ ভোট। নলডাঙ্গায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী আব্বাস আলী তিন হাজার ৪৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ইয়াকুব আলী পেয়েছেন দুই হাজার ৮৯ ভোট। সিংড়ায় বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত শামীম আল রাজি। তিনি পেয়েছেন নয় হাজার ২৬৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আসাদুজ্জামান পেয়েছেন সাত হাজার ৪৭২ ভোট। গুরুদাসপুরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা আট হাজার ৪১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-সমর্থিত মো. আমজাদ হোসেন পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৩৫ ভোট। গোপালপুরে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ১০৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন তিন হাজার ৬১১ ভোট। বড়াইগ্রামে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী ইসহাক আলী চার হাজার ৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফুল হক পেয়েছেন তিন হাজার ৬৩৮ ভোট।
জয়পুরহাট: জয়পুরহাট পৌরসভায় নির্দলীয় প্রার্থী আবদুল আজিজ মোল্লা ১৩ হাজার ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-সমর্থিত বর্তমান মেয়র ফজলুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৫৬ ভোট। আক্কেলপুরে ছয় হাজার ৩৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রাথী মো. আলমগীর চৌধুরী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান পেয়েছেন চার হাজার ৮১২ ভোট। কালাইয়ে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার দুই হাজার ৮৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আনিছুর রহমান তালুকদার পেয়েছেন দুই হাজার ২৯৮ ভোট। পাঁচবিবিতে ৫৫৯ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের সামছুল আলম।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় ৩৬ হাজার ৩১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী মোকাদ্দেস আলী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কে এম হোসেন আলী হাসান পেয়েছেন ২৪ হাজার ১০২ ভোট। কাজীপুরে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত মো. আবদুস সালাম। তিনি পেয়েছেন দুই হাজার ৮৬৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী মো. গোলাম মোস্তফা তালুকদার পেয়েছেন দুই হাজার ৪৫৪ ভোট। উল্লাপাড়ায় বিএনপির এম বেলাল হোসেন ১১ হাজার ১৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লাগের মারুফ বিন হাবিব পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৫২ ভোট। রায়গঞ্জে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মোশারফ হোসেন সরকার আকন্দ। তিনি পেয়েছেন দুই হাজার ৫২৬। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নূর সাঈদ সরকার পেয়েছেন দুই হাজার ৪২৬ ভোট। শাহজাদপুরে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৮৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হালিমুল হক ১৪ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়েছেন। বেলকুচিতে আওয়ামী লীগের মফিজ উদ্দীন লাল মিয়া ১২ হাজার ৪১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৩৪ ভোট।
নওগাঁ: নওগাঁ পৌরসভায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী নাজমুল হক ৩৭ হাজার ১৮৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৩০ হাজার ৬০৩ ভোট। নজিপুরে বিএনপির আনোয়ার হোসেন পাঁচ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম আওয়ামী লীগের মো. আমিনুল হক পেয়েছেন চার হাজার ৯৪৩ ভোট।
বগুড়া: বগুড়া পৌরসভায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এ কে এম মাহবুবুর রহমান ৯৬ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী রেজাউল করীম পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৩৫৫ ভোট। সান্তাহারে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন। তিনি পেয়েছেন নয় হাজার ৪৯২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত গোলাম মোরশেদ পেয়েছেন ছয় হাজার ৮১০ ভোট। ধুনটে আওয়ামী লীগের এ জি এম বাদশা এক হাজার ৫৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলিমুদ্দিন হারুন মণ্ডল এক হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়েছেন। নন্দীগ্রামে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী সুশান্ত কুমার। তিনি পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৭৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র কামরুল হাসান সিদ্দিকি পেয়েছেন দুই হাজার ৬৮৬ ভোট। কাহালুতে দুই হাজার ৮১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের হেলাল উদ্দিন কবিরাজ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী আবদুল মান্নান পেয়েছেন দুই হাজার ৩৬০ ভোট। গাবতলীতে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোরশেদ মিল্টন চার হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন তিন হাজার ৯১৮ ভোট। শিবগঞ্জে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির মতিয়ার রহমান। তিনি পেয়েছেন সাত হাজার ৩২০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের তৌহিদুর রহমান পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৭৬ ভোট। শেরপুর পৌরসভায় ছয় হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী স্বাধীন কুমার কুন্ডু। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আবদুস সাত্তার পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৩৭ ভোট। সারিয়াকান্দিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী টিপু সুলতান দুই হাজার ৮৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আবদুল হামিদ পেয়েছেন দুই হাজার ৬৮৩ ভোট।
পাবনা: পাবনা পৌরসভায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী কামরুল হাসান ৩৬ হাজার ৬১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবু ইসহাক শামীম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৯৬ ভোট। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের খ ম কামরুজ্জামান তিন হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী এনামুল হক পেয়েছেন দুই হাজার ৭৯৭ ভোট। সুজানগরে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ৯১৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবুল কাশেম পেয়েছেন চার হাজার ৭৮৮ ভোট। চাটমোহরে তিন হাজার ১৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত হাসাদুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম আওয়ামী লীগের মির্জা রেজাউল করিম পেয়েছেন দুই হাজার ৬১৮ ভোট। সাঁথিয়ায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী মিরাজুল ইসলাম আট হাজার ৩৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের বিদ্রোহী মোজাম্মেল হক পেয়েছেন ছয় হাজার ২০৫ ভোট। ঈশ্বরদীতে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মকলেছুর রহমান ১৬ হাজার ৬৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৪০৭ ভোট। ভাঙ্গুড়ায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুর রহমান। তিনি পেয়েছেন দুই হাজার ৭২৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নূর মুজাহিদ পেয়েছেন দুই হাজার ৭২০ ভোট।
রংপুর: বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগের উত্তম কুমার সাহা পাঁচ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আজিজুল হক পেয়েছেন তিন হাজার ১৭৫ ভোট। হারাগাছে জাতীয় পার্টি-সমর্থিত প্রার্থী সাদাকাত হোসেন ১১ হাজার ২০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোনায়েম হোসেন পেয়েছেন আট হাজার ৩৮৫ ভোট।
গাইবান্ধা: গাইবান্ধা পৌরসভায় নির্দলীয় প্রার্থী শামসুল আলম আট হাজার ৫৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আনোয়ার-উল-হাসান ছয় হাজার ৫৯১ ভোট পেয়েছেন। গোবিন্দগঞ্জে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার। তিনি পেয়েছেন সাত হাজার ৪২৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফারুক আহমেদ পেয়েছেন ছয় হাজার ৮২৯ ভোট। সুন্দরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র নুরুন্নবী প্রামাণিক চার হাজার ১২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি-সমর্থিত আবদুল মজিদ মণ্ডল পেয়েছেন দুই হাজার ৪৫ ভোট।
লালমনিরহাট: লালমনিরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম ১৪ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাফিজুর রহমান পেয়েছেন নয় হাজার ৭১৭ ভোট। পাটগ্রামে বিজয়ী হয়েছেন নির্দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র শমশের আলী তিন হাজার ৯৮৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোস্তফা সালাউজ্জামান পেয়েছেন তিন হাজার ৯৫৪ ভোট।
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম পৌরসভায় বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নূর ইসলাম ৫২৫ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. কাজীউল ইসলাম। উলিপুরে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আবদুল হামিদ সরকার। তিনি পেয়েছেন আট হাজার ৯৪৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. হায়দার আলী পেয়েছেন ছয় হাজার ৯৮১ ভোট। নাগেশ্বরীতে জাতীয় পার্টি-সমর্থিত প্রার্থী আবদুর রহমান সাত হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. আবুল কাশেম সরকার পেয়েছেন সাত হাজার ১১০ ভোট।
দিনাজপুর: দিনাজপুর পৌরসভায় বিএনপি সমর্থিত-প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ২৪ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্দলীয় মো. আলতাফ উদ্দিন পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৪২ ভোট। ফুলবাড়ীতে সাত হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন খনিবিরোধী আন্দোলনের নেতা মো. মানিক সরকার। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. হবিবর রহমান সরকার পেয়েছেন পাঁচ হাজার ২৫৬ ভোট। বীরগঞ্জে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ। তিনি পেয়েছেন তিন হাজার ২৬০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোশাররফ হোসেন পেয়েছেন দুই হাজার ৭৬২ ভোট। বিরামপুরে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী আজাদুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন নয় হাজার ৩০২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আক্কাছ আলী পেয়েছেন সাত হাজার ৩৫০ ভোট। হাকিমপুরে বিএনপির মো. সাখাওয়াত হোসেন পাঁচ হাজার ৮৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জামিল হোসেন পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৯২ ভোট।
সেতাবগঞ্জে ছয় হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আবদুস সবুর মাস্টার। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-সমর্থিত মো. আসলাম পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৫৭ ভোট।
নীলফামারী: নীলফামারী পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। তিনি পেয়েছেন সাত হাজার ১১১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জহুরুল আলম পেয়েছেন ছয় হাজার ৩২৬ ভোট। জলঢাকায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ারুল কবীর চৌধুরী নয় হাজার ৬৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম জাতীয় পার্টির ইলিয়াছ হোসেন আট হাজার ৫১৯ ভোট পেয়েছেন। সৈয়দপুর পৌরসভায় বিএনপি-সমর্থিত আমজাদ হোসেন সরকার ২৬ হাজার ৫০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি-সমর্থিত সিদ্দিকুল আলম পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৭৬ ভোট।
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী এস এম এ মঈন ১৫ হাজার ৭৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির গোলাম সারওয়ার চৌধুরী ১২ হাজার ২৯০ ভোট পেয়েছেন। রানীশংকৈলে বিজয়ী হয়েছেন নির্দলীয় প্রার্থী মো. মোখলেসুর রহমান। তিনি ভোট পেয়েছেন দুই হাজার ৮৩২টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্দলীয় প্রার্থী মো. আলমগীর সরকার পেয়েছেন দুই হাজার ৭১৩ ভোট। পীরগঞ্জে বিএনপির রাজিউর রহমান সাত হাজার ১৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. একরামুল হক পেয়েছেন ছয় হাজার ২০ ভোট।
পঞ্চগড়: পঞ্চগড় পৌরসভায় ১৩ হাজার ২০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির মো. তৌহিদুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের জহিরুল ইসলাম পেয়েছেন সাত হাজার ৪৬৮ ভোট।
সামান্য উত্তেজনা, অভিযোগ
সৈয়দপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীদের নির্বাচনের ফলাফল রাত সাড় নয়টার দিকেও ঘোষণা না করায় এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা প্রিসাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ জনতার ওপর লাঠিপেটা করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করে। তখন জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কমপক্ষে ১৪টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।
বগুড়া সদর পৌরসভায় শহরের মাটিডালি বিদ্যালয়ের সামনে দুপুর ১২টার দিকে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুরে মালতিনগর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে মিজানুর রহমান নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারের অভিযোগ ওঠায় তাঁকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভার ব্রহ্মপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শহিদুল ইসলাম নামের এক আনসার সদস্য এক প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে আটক করেন। ভোট গ্রহণের আগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বড়াইগ্রাম পৌর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভার চৌপুখরিয়া রেজি. বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের সমর্থক ও বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এস এম আকবর আলীর সমর্থকদের মধ্যে ভোটকেন্দ্রের দখল নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। এ সময় ভোটকেন্দ্রের বাইরে তাঁদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলায় বিএনপির সমর্থক খাইরুল ইসলাম (২০) গুরুতর আহত হন। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শফিউজ্জামান ভূঁইয়া আওয়ামী লীগ সমর্থক আইয়ুব আলীকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ছাড়া দুর্গাপুর পৌরসভার ধরমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের এজেন্টদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভোট গ্রহণ এবং প্রতিপক্ষের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাবনা পৌরসভার চক ছাতিয়ানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিকেল তিনটার দিকে একদল যুবক ভোটকেন্দ্রে ঢুকে কিছু ব্যালট পেপার ছিনতাই করে। এরপর ওই কেন্দ্রে ৩০ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিরাজগঞ্জের ছয়টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে বিনা অনুমতিতে প্রাইভেট কার নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় চলাফেরার অভিযোগ এনে সদরের বিএনপির সাংসদ রোমানা মাহমুদের বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
কুড়িগ্রাম পৌরসভায় শহরের পশ্চিম কবিরাজপাড়া নূরানী তালিমুল কোরআন ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে বেলা দুইটার দিকে ছাত্রলীগের মমিন, আইয়ুব, সেকেন্দার ও কাইয়ুমসহ অন্যরা একটি বুথে ঢুকে মেয়র পদের ব্যালট পেপারের ৩৫৮৩ নম্বর ক্রমিকের ১০০ পাতার একটি বই ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপর র্যাব, বিজিবি এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানান, কর্তব্যে অবহেলার জন্য কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুস সালাম হোসেন এবং ওই বুথের পোলিং অফিসার এস এম লিয়াকত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রানীনগর) আসনের সাংসদ ইসরাফিল আলম ভোট চলাকালে নওগাঁ পৌরসভার আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী নজমুল হক। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাহমিদুল ইসলাম জানান, এক প্রার্থীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সাংসদকে নির্বাচনী এলাকায় ঘোরাঘুরি না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার ১৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিতে ফলাফল ঘোষণার পর নারিতা কেন্দ্রে হামলা চালানোর চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা)

No comments:

Post a Comment