Sunday, January 23, 2011

বাগবোকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে নইলে ইইউয়ের অবরোধ

ইভরি কোস্টে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা প্রেসিডেন্ট লরাঁ বাগবোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান সত্ত্বেও বাগবো তাঁর অবস্থানে অনড় থাকায় দেশটিতে নতুন করে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই সপ্তাহের মধ্যেই আলেসান ওয়াতারার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে ব্যর্থ হলে বাগবো ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কঠোর অবরোধের মুখে পড়বেন বলে জানিয়েছে ফ্রান্স। বাগবোর সমর্থকদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পদের আরেক দাবিদার ওয়াতারার সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত হওয়ার এক দিন পর গত শুক্রবার প্রধান শহর আবিদজানের রাস্তায় সেনাপুলিশের উপস্থিতি ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বাগবোকে অবশ্যই এ সপ্তাহের মধ্যে সরে যেতে হবে। তা না হলে তাঁর ওপর ইইউ কঠোর অবরোধ আরোপ করবে। সারকোজি বলেন, 'বাগবো ও তাঁর স্ত্রীর ভাগ্য তাঁদের হাতেই নির্ভর করছে। জনগণের রায় লঙ্ঘন করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা বাগবো এই সপ্তাহের মধ্যেই যদি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ত্যাগ না করেন, তবে ইইউর অবরোধের তালিকায় তাঁদের নাম উঠবে।'
ইউরোপীয় ইউনিয়নও অবরোধ আরোপের হুমকি দিয়ে আইভরি কোস্টের সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন বাগবোর ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় এবং ওয়াতারার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। ব্রাসেলসে ইইউর সম্মেলন শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'আইভরি কোস্টের সব রাজনৈতিক নেতা, সাধারণ মানুষ এবং সেনাবাহিনীর প্রতি ইইউ আহ্বান জানাচ্ছে, তারা যেন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ওয়াতারার প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করে।'
কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রায়লা ওদিঙ্গা প্রয়োজন হলে বাগবোকে জোর করে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আফ্রিকান জাতিগুলোর প্রতি। ওদিঙ্গা বলেন, 'আফ্রিকান ইউনিয়নের উচিত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।' এদিকে, দুুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য আফ্রিকান ইউনিয়নের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জঁ্য পিং গত শুক্রবার আবিদজানে পেঁৗছেছেন।
জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়ন, ইকোয়াসসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে ওয়াতারাকে বিজয়ী বলে সমর্থন দিয়ে আসছে।
প্রধান শহর আবিদজানে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ৩০ জন নিহত হওয়ার এক দিন পর ওয়াতারার সমর্থকরা জানিয়েছে, তারা রাজপথ থেকে সরছে না। সাংবাদিকরা জানান, আবিদজানের পরিস্থিতি আগের তুলনায় শান্ত। তবে বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এপি।

No comments:

Post a Comment