Sunday, January 23, 2011

কাশ্মীরি বন্দিদের ওপর 'নির্যাতন' চালিয়েছে ভারত

ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরে বন্দিদের ওপর ব্যাপক হারে নির্যাতন চালাত। সেখানকার বিভিন্ন বন্দিশালা ঘুরে দেখার পর রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি ২০০৫ সালে বিষয়টি নয়াদিলি্লতে নিয়োজিত মার্কিন দূতাবাসের কূটনীতিকদের জানিয়েছিল।

তাদের দাবি, ভারত সরকার নির্যাতনের বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে। উইকিলিকসের ফাঁস করা তারবার্তা থেকে গত শুক্রবার এ কথা জানা গেছে। বার্তা অনুযায়ী, ২০০৫ সালের এপ্রিলে রেডক্রস নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বন্দি নির্যাতনের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ নয়াদিলি্লতে মার্কিন কূটনীতিকদের কাছে পাঠায়। তারা জানায়, বৈদ্যুতিক শক, যৌন নিপীড়ন, পানিতে চুবিয়ে নির্যাতন, ঝুলিয়ে রাখা ছাড়াও বসা অবস্থায় পায়ের ওপর ভারী ধাতব জিনিস রেখে তার ওপরে নিরাপত্তা কর্মীরা বসে নির্যাতন চালাত। ভারত সরকার এসব নির্যাতনের ঘটনা দেখেও না দেখার ভান করেছে।
রেডক্রস কূটনীতিকদের জানায়, ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত রেডক্রসের কর্মীরা কাশ্মীরের বিভিন্ন বন্দিশিবির ১৭৭ বার পরিদর্শন করে। এ সময় তারা প্রায় দেড় হাজার বন্দির সঙ্গে কথা বলে। বেশির ভাগ বন্দিই ছিল সাধারণ নাগরিক। সন্দেহবশত তাদের অনেককে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে। তারাই নির্যাতনের ধরন সম্পর্কে জানায়।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এই তারবার্তার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি জানিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এ বিষয়ে শুক্রবার এনডিটিভিকে জানান, তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার আগে এসব ঘটনা ঘটেছে। কাজেই তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। 'আমি এসব ঘটনার মধ্যে নেই। এটা ২০০৫ সালের ঘটনা। আপনারা জানেন, তখন কারা ক্ষমতায় ছিল। আমাদের সময়ে এমন ঘটনা ঘটেনি, ভবিষ্যতে কখনো ঘটবেও না।' তাঁর সরকারের আমলেই প্রথম অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি দলকে কাশ্মীর সফরের অনুমতি দেওয়া হয় বলেও জানান আবদুল্লাহ।
২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) জোট সরকার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ক্ষমতায় ছিল।
কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিদর্শক এস এম সোহাই বলেন, রেডক্রসের বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবর ভিত্তিহীন ও অপপ্রচার। 'নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি জানি না, রেডক্রস কিভাবে এসব তথ্য পেয়েছে। কারণ কাশ্মীরের ওই সব জায়গায় তাদের প্রবেশাধিকার নেই। কাজেই এ খবরের কোনো ভিত্তি নেই।' সূত্র : এএফপি।

No comments:

Post a Comment