Sunday, January 23, 2011

অ্যাসাঞ্জ গুপ্তচর! যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ গঠনের চেষ্টা

ইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অভিযোগ করেছেন, গোপন কমিটি করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খুব শিগগির এ অভিযোগ চূড়ান্ত করে দেশটি তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর উদ্যোগ নেবে বলেও আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তিনি।

গত শুক্রবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অ্যাসাঞ্জ। ৯ দিন আটক থাকার পর এর আগের দিনই ব্রিটেনের কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে বিচার বিভাগ। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে তারা উইকিলিকসের কাছে তথ্য পাচারের দায়ে আটক মার্কিন সেনা ব্র্যাডলি ম্যানিংয়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করছে। ম্যানিং তাঁর তথ্য চুরির পেছনে অ্যাসাঞ্জের অনুপ্রেরণা ও সহায়তা থাকার কথা বললে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা সহজ হবে। ম্যানিং বর্তমানে ভার্জিনিয়ার একটি সেনাঘাঁটির গোপন কারাগারে বন্দি আছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ যাবৎ উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া সব মার্কিন গোপন নথি তিনিই সরবরাহ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আড়াই লাখ গোপন নথি প্রকাশ করে চলতি মাসের শুরুতে সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে উইকিলিকস। এ ঘটনায় বিব্রত যুক্তরাষ্ট্র সরকার অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়। এই ফাঁকে দুই সুইডিশ নারীর ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগে স্টকহোমের একটি আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অভিযোগ অস্বীকার করলেও ৭ ডিসেম্বর লন্ডন পুলিশের কাছে ধরা দেন অ্যাসাঞ্জ। এর ৯ দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার তিন লাখ ৭৪ হাজার ডলারের বিনিময়ে তিনি জামিনে মুক্তি পান। জামিনে থাকা অবস্থায় অ্যাসাঞ্জকে ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে 'ইলিংহাম হল' নামের একটি বাড়িতে অবস্থান করতে হবে। এ বাড়িতেই শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
অ্যাসাঞ্জ ধর্ষণের অভিযোগকে 'একটি সফল প্রচারণা' হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, উইকিলিকস ও তাঁকে কলঙ্কিত করার লক্ষ্যেই একটি মহল এ প্রচারণা চালিয়েছে। অ্যাসাঞ্জ বলেন, 'মার্কিন আইনজীবীরা আমাকে জানিয়েছেন যে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের লক্ষ্যে দেশটি একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করেছে। আমি আশঙ্কা করছি, তারা আক্রমণাত্মক কোনো অভিযোগের পরিকল্পনা করছে।' অ্যাসাঞ্জ এ কমিটির বিষয়টি গোপন রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, 'নিশ্চয়ই তারা অস্বাভাবিক কিছু করার চেষ্টা করছে।' তিনি দাবি করেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার আগে তিনি কখনো ম্যানিংয়ের নাম শোনেননি। তিনি বলেন, 'উইকিলিকস ওয়েবসাইটটি এমনভাবে তৈরি যে আমরা সূত্রের নাম জানতে পারি না।' সূত্র : এএফপি, এপি।

No comments:

Post a Comment