Sunday, January 16, 2011

তিন বিভাগে একযোগে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব

বার বড় পরিসরে হচ্ছে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। চতুর্থবারে এসে এ উৎসব একযোগে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবে বাংলাদেশসহ মোট ৪০টি দেশের ২৩৩টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হবে। শিশু নির্মিত চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায়ও এবার ব্যাপক সাড়া মিলেছে।

৯৮টি চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে চূড়ান্ত বিচারের জন্য ৪৮টিকে মনোনীত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উৎসব পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বরাবরের মতো এবারও উৎসবের স্লোগান হচ্ছে, 'ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন'। ২২ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে উৎসব উদ্বোধন করবেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর ১৪টি মিলনায়তনে দর্শকরা এসব ছবি উপভোগ করতে পারবে। প্রতিটি ছবিই শিশুদের জন্য উন্মুক্ত। তবে বড়রা ৩০ টাকার দর্শনীর বিনিময়ে ছবি দেখার সুযোগ পাবেন। ছবিগুলোর মধ্যে থাকছে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, অ্যানিমেশন ও প্রামাণ্যচিত্র। উৎসব চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফা মনোয়ার, ড. ইয়াসমীন হক, চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বক্তব্য দেন।
উৎসবের মূল ভেন্যু সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার। এর বাইরে ঢাকার শিশু একাডেমী, ব্রিটিশ কাউন্সিল, আলিয়ঁস ফ্রাঁসেজ (ধানমণ্ডি ও উত্তরা), রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র, জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, খিলগাঁও মডেল স্কুল, কলেজ অব লেদার টেকনোলজি (হাজারীবাগ)। চট্টগ্রামে উৎসব হবে থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। এর বাইরে কয়েকটি বিদ্যালয় ও মাঠে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহীতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ মিলনায়তন এবং জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উৎসবের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
প্রমা অবন্তির ওড়িশি নৃত্যের মোহনীয় সন্ধ্যা : নৃত্যশিল্পী প্রমা অবন্তি ও তাঁর দলের ওড়িশি, বটু, চতুরঙ্গ নৃত্য মুগ্ধ করল রাজধানীর দর্শক-শ্রোতাদের। শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় গতকাল সন্ধ্যায় ওড়িশি অ্যান্ড টাগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার পরিবেশন করে অপূর্ব সব ধ্রুপদী নৃত্য।
প্রথমে ছিল বটু নৃত্য। ওড়িশি নৃত্যের শুদ্ধ পদ্ধতি মেনে নিয়ে সুর, তাল ও ছন্দের মার্গীয় সুধা ও লয়ে এটি পরিবেশিত হয়। এ নৃত্যে মোহনীয় ভঙ্গিতে শিল্পীরা ফুটিয়ে তোলেন মন্দির গাত্রের ভাস্কর্য কিংবা ভাস্কর্যপ্রতিম অঙ্গসঞ্চালন। একতাল ও কলাবতী রাগে প্রমার দল এ নৃত্য পরিবেশন করে। দ্বিতীয় পর্বে প্রমা পরিবেশন করেন চতুরঙ্গ।
রণেশ দাশগুপ্তের শততম জন্মদিন উদ্যাপন : রণেশ দাশগুপ্ত ছিলেন আজীবন সংগ্রামী। তিনি তাঁর সাহিত্য, শিল্প ও কর্মের মাধ্যমে গণমানুষকে মুক্তির পথ দেখিয়ে গেছেন। তাঁর আদর্শকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি উদীচী, প্রগতি লেখক সংঘের মতো প্রগতিশীল সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। তৈরি করেছেন অসংখ্য সাংবাদিক, সাহিত্যিক এবং প্রগতিশীল সংস্কৃতিকর্মী।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সাহিত্যিক, সাংবাদিক রণেশ দাশগুপ্তের শততম জন্মদিনে এভাবেই তাঁকে স্মরণ করলেন বিশিষ্টজনরা। গতকাল শনিবার মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে রণেশ দাশগুপ্তের শততম জন্মদিন উদ্যাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী।
১৯১২ সালের ১৫ জানুয়ারি রণেশ দাশগুপ্ত জন্মগ্রহণ করেন। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগামী বছর রণেশ দাশগুপ্তের জন্মশত বার্ষিকী উদ্যাপনে উদীচীর উদ্যোগে শুরু হলো বছরব্যাপী আয়োজন।

No comments:

Post a Comment