Monday, June 13, 2011

আলতো এক গুঁতোয় যদি সব সমাধান হতো ... by ওবায়দুল কবির

৭ এপ্রিল, রবিবার। সকাল সাড়ে সাতটায় স্ত্রীকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে যাই। সাংবাদিক হিসেবে কোন রকম সুযোগ-সুবিধা না নিয়ে স্ত্রীকে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকের কৰের সামনে লাইনে দাঁড় করিয়ে কিছু দূরে বসে থাকি। অনেকৰণ লাইনে দাঁড়ানোর পর চিকিৎসকের দরজার সামনে পেঁৗছে যান আমার স্ত্রী।

তিনজন রোগীর পেছনে তাঁর অবস্থান। এমন অবস্থায় এক কর্মচারী আমার স্ত্রীকে নিজের লাইন থেকে সরিয়ে অন্য আরেকটি লম্বা লাইনের পেছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অন্য লাইনে যেতে অস্বীকৃতি জানালে স্ত্রীকে অশালীন ভাষায় লাইন থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। ততৰণে দৃশ্যটি আমার নজরে পড়ে। স্ত্রীকে তার নিজের লাইনে রাখার অনুরোধ করলে ওই কর্মচারিটি আমাকে ধমক দিয়ে বের হয়ে যেতে বলেন। দ্বিতীয়বারের মতো লাইন থেকে বের হয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানালে প্রথমে তিন/চার কর্মচারী আমার ওপর চড়াও হয়। টেনেহিঁচড়ে আমাকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের সঙ্গে আরও ৬/৭ কর্মচারী যোগ দেয়। কর্মচারীদের কয়েকজন আমাকে লাথি ও কিলঘুষি দিতে থাকে। ওই স্থানে দাঁড়ানো আনসার সদস্য ও সাধারণ লোকজন আমাকে কর্মচারীদের আক্রমণ থেকে রৰা করেন। পরে হাসপাতালের অন্য কর্মচারীদের সহায়তায় আমি হামলাকারীদের মধ্যে হাবিব, বাবু ও মাসুম নামে তিন কর্মচারীকে শনাক্ত করতে পেরেছি।
এ অবস্থার রেশ না কাটতেই আমার কানে এলো প্রতিদিনের রম্নটিন মাফিক বিএসএমএমইউ-এর পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল মজিদ ভূঁইঞা আইটডোর পরিদর্শনে আসছেন। এ খবর শুনে মনে মনে স্বস্তি বোধ করছি। ভাবছি তিনি এলে আমার কথা শুনে এবং পরিচয় পেয়ে নিশ্চয়ই এমন কিছু উদ্যোগ নেবেন যাতে কিছুৰণ আগে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ৰিত ঘটনার লজ্জা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাব। তিনি সেনাবাহিনীর একজন অফিসার হওয়ায় এ বিশ্বাস জন্মেছে আরও বেশি। তিনি ঘটনা স্থলে আসার দেরি দেখে আমি নিজেই এগিয়ে গিয়ে পরিচয় দিয়ে সব কিছু খুলে বললাম। তিনি মুখে কোন কথা বললেন না। সামনের দিকে হাঁটতে থাকলেন। আমি তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করলাম। ঘটনার যে নায়ক তার কাছে আসতেই জোরেশোরে গলা বাগিয়ে দেখিয়ে দিলাম। তিনি তাঁর হাতে থাকা ছোট্ট স্টিকটি দিকে ওর পেটে একটি আলতো গুঁতো দিয়ে শুধু বললেন: ডিউটি চেঞ্জ করে দেব কিন্তু। এই শেষ। আমি আবার তাঁর পিছু হাঁটছি। শেষে যখন চলে যাবেন তখন বললাম, স্যার আমার করণীয় কি? আমি কি লিখিত অভিযোগ জমা দেব। তিনি শুধু বললেন, দেন।
লজ্জা ও অপমানের হাত থেকে বাঁচতে আমার চীফ রিপোর্টার ওবায়েদ ভাইকে বিষয়টি ফোনে জানালাম। তিনি স্বাস্থ্য বিটের সাংবাদিক নিখিল মানখিন দাদাকে জানাতে বললেন। তারপর নিখিল দাদা আমাকে অপেৰা করতে বলে মহাখালী থেকে রওনা দিলেন হাসপাতালের দিকে। ঘটনা জানালাম রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাকারিয়া মুক্তা ভাইকে। এরপর অপেৰা করতে লাগলাম। কিভাবে যেন খবর পেয়ে একে একে হাসপাতালে হাজির হলেন সাংবাদিক রাজন ভট্টাচার্য দাদা, মিথুন কামাল ভাই, পবন আহমেদ ভাই, মশিউর রহমান ভাই, আতিকুর রহমান ভাই, হাবিবুর রহমান হাবিব, উমর ফারম্নকসহ অনেক সাংবাদিক। সম্মিলিতভাবে তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। দীর্ঘৰণ ধরে তাঁরা উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান করেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদনত্ম ও জড়িতদের দৃষ্টানত্মমূলক শাসত্মি দাবি করে তাঁরা হাসপাতালের পরিচালক বরাবর একটি আবেদনপত্র জমা দেন। পরিচালক(উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী ও পরিচালক( হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল মজিদ ভূঁইঞা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা নিয়ম-কানুনের কথা বলে কালৰেপণ করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের আনত্মরিক হসত্মৰেপে অভিযুক্তদের তিন জনকে সাময়িক বরখাসত্ম ও তদনত্ম কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয় সংশিস্নষ্টরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপৰের বিরম্নদ্ধে। তবে ৩ দিনের মধ্যে তদনত্ম রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা থাকলেও প্রায় এক মাস পেরিয়ে যাচ্ছে কোন খবর পাইনি এখনও।
এ সময় পরিচালক মহোদয় নির্লজ্জভাবে অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত স্যারকে জানান, ঘটনার তো ওখানেই বিচার হয়েছে। আমি তাঁর কথার প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন_ কেন আমি ওর পেটে গুঁতো দিলাম না।
তখন আমার বার বার মনে হয়েছিল আপনাকে লাথি দিলে আমার বস যদি আমার পেটে আলতো গুঁতো দেন তা হলে বিষয়টি মিটে যাবে? কিন্তু বলতে পারিনি। শুধু ভেবেছি, এ রকম গুঁতোর মাধ্যমে যদি সব কিছু ঝামেলা শেষ হয়ে যেত তা হলে দেশটি সোনার বাংলা না হওয়ার কোন উপায় ছিল না। আশার কথা হলো, এখনও এদেশে ভূঁইয়াদের বিপরীতে প্রাণ গোপাল দত্তের মতো মানুষও আছে।
হামিদ-উজ-জামান মামুন

বারানসির শেষ বিকেলে
৮ মে, রবিবার । দিলস্নী সফর শেষ। সকাল থেকে মনটা বেশ খারাপ। অনেক সময় এমনিতেই আমার মন খারাপ হয়ে যায়। মন খারাপের কারণ খুঁজে বের করতে নিজেরই বেশ সময় লাগে। খুব ছোটখাটো কারণ। প্রত্যাশা অনুযায়ী সব কিছু না ঘটলে আমার মন খারাপ হয়। মন খারাপ হলে চেহারা দেখে বোঝা যায়। সফরসঙ্গী কয়েকজনই মন খারাপের কারণ জানতে চাচ্ছেন। আমার কাছে কোন জবাব নেই। কিছু সময় চিনত্মা করলাম কেন মন খারাপ হলো। যে কারণ খুঁজে পেলাম তাতে নিজেরই হাসি পেল। তবুও মন খারাপ গেল না। রওনা হই বারানসির উদ্দেশ্যে।
কিংফিশার এয়ারের ফ্লাইট সকাল দশটায়। ভোর সাড়ে ৬টায় হোটেল থেকে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় পৌনে ৮টা বেজে গেল। দিলস্নী ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে পেঁৗছে বোর্ডিং কার্ড সংগ্রহ করতে কিছুটা তাড়াহুড়াই লেগে গেল। এর মধ্যে আনিস আলমগীরের বোর্ডিং বাতিল করা হয় হ্যান্ড লাগেজে ছুরি রাখার অপরাধে। দ্বিতীয় দফা তাকে বোর্ডিং পাস নিতে হলো। যথাসময় বিমান আকাশে উড়ে বারানসিতে পেঁৗছে ঠিক ১১টায়। বারানসি ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি জেলা শহর। উত্তর প্রদেশ হলেও এটি বিহারসংলগ্ন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান কাশীর রাষ্ট্রীয় নাম আগে ছিল বেনারসি। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বারানসি। সুন্দর ছিমছাম বিমানবন্দর। লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নামে বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়েছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমাদের লাগেজ পেয়ে যাই। বিমানবন্দরে আমাদের স্বাগত জানান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিজে। ভারত সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা আমাদের গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে তিনি বিদায় নিলেন। ভারত সফরে আমাদের কার্যসূচীতে বারানসি যুক্ত হওয়াতে আমি খুবই উৎফুলস্ন হয়েছিলাম। ওখানে হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে আমার কন্যা লোটাস লেখাপড়া করেছে। সময়ের অভাবে অবশ্য তার ইউনিভার্সিটি দেখা হয়নি। লোটাস এখন কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা। ওখান থেকে ফোনে তার সঙ্গে কথা বলেছি।
জেলা শহরে আমরা ভিআইপি অতিথি। সামনে-পেছনে পুলিশের গাড়ি। সাইরেন বাজাতে বাজাতে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো হোটেলে। তারকা খচিত বিশাল হোটেল। আগে ছিল হোটেল তাজ। দিলস্নী তাজ হোটেলে জঙ্গী হামলার পর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে হোটেল গেটওয়ে। ৭০ একর জায়গার ওপর দু'টি হোটেল। মফস্বল শহরে অবস্থানের কারণে খুব একটা জৌলুস নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। হোটেলের অধিকাংশ কর্মচারীই বাঙালী। খড়রোদের কারণে বাইরে প্রচ- গরম। দুপুরে খাওয়ার পর হাল্কা বিশ্রাম নিয়ে আমরা যাই সরনাথ জাদুঘর দেখতে। সঙ্গে প্রটোকল কর্মকর্তা ছাড়াও এক ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। ৫টায় জাদুঘর বন্ধ হয়ে যায়। আমরা পেঁৗছতেই ৫টা বেজে যায়। তবুও খোলা রাখা হয়েছে আমাদের জন্য। একজন স্মার্ট বয়স্ক গাইড আমাদের জাদুঘরে রৰিত প্রত্নতত্ত্বগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। যিশুর জন্মের এক হাজার বছর আগের একটি বৌদ্ধ মূর্তি দেখিয়ে গাইড বলছেন, এটি বুদ্ধের আসল মূর্তি। এর দিকে মনোযোগ দিলে দেখতে পাবেন মহামতী বুদ্ধ আপনার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছেন। আপনি কিছু প্রার্থনা করলে দেখবেন তাঁর চোখ থেকে আশীর্বাদ বর্ষিত হচ্ছে। আশীর্বাদ বর্ষিত হয় কিনা জানিনা, তবে মূর্তিটি সত্যিই মোনালিসা ছবির মতো মৃদুহাস্য। জাদুঘরের পাশেই রাজা অশোকের দুর্গ। এখনও দুর্গের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। গাইড আমাদের দেখালেন বিখ্যাত অশোক সত্মম্ভ। পাশে একটি বৌদ্ধ মন্দির। কিছু ছবি তুলে ফেরার সময় গাইড খাঁটি বাংলায় বললেন, আপনারা বাংলাদেশের সাংবাদিক? আমরা অবাক হয়ে তার দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থাকি। প্রশ্ন করলাম, আপনি বাঙালী। মৃদু্যহাস্যে তিনি জবাব দিলেন, খাঁটি বাঙালী। হুগলীতে আমার জন্ম। এতৰণ ইংরেজী বললেন যে- তিনি বললেন, গাইডের কাজ ইংরেজীতেই ভাল হয়। বাঙালী কায়দায় তাঁর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসি হোটেলে। সন্ধ্যায় বের হই গঙ্গা ঘাটের 'আরতি' দেখতে। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায় শুরম্ন হয় আরতি। গঙ্গার কয়েকটি ঘাটেই আরতি হয়। সবচেয়ে বড়টির নাম ডা. রাজেন্দ্র কুমার ঘাট। স্রোতের মতো ঘাটের দিকে চলছে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ। আমরা যখন ঘাটের কাছাকাছি পৌঁছি তখন মসজিদের মাইকে মাগরিবের নামাজের আজান দিচ্ছে। একদিকে মসজিদের আজান, অন্যদিকে গঙ্গা ঘাটমুখী মানুষের স্রোত_ উলুধ্বনি। হিন্দু-মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অপূর্ব সহাবস্থান। আমাদের ড্রাইভার মুসলিম। নাম জাকির। জানাল, কাশিতে তিন ভাগের একভাগ লোকই মুসলমান। শুধু হিন্দু-মুসলিম নয়, অনেক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী লোকও রয়েছে এখানে। তিন ধর্মের লোকদের সহাবস্থানে কখনও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় না। পুলিশের গাড়ি সাইরেন বাজাতে বাজাতে আমাদের পেঁৗছে দিল ঘাটে। স্রোতের মতো ঘাটমুখী ধর্মপ্রাণ লোকগুলো বিরক্ত হলেও কিছু করার নেই। আমরা যে রাষ্ট্রীয় অতিথি। আমাদের নিয়ে বসানো হলো ঘাটের এক পাশে বাঁধানো একটি টিলার ওপর। লাল গালিচার ওপর চেয়ার পাতা। আমরা ছাড়াও ভিআইপি রয়েছেন সেখানে। এটি বারানসি প্রশাসনের স্থায়ী ব্যবস্থা। প্রায়ই ভিআইপিরা আসেন আরতি দেখতে। তাদের জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওখানে বসে ঘাটের সবটাই দেখা যায়। শুধু ঘাটের ওপর নয়, নদীতেও কয়েক শ' নৌকায় হাজার হাজার ভক্ত বসে আরতি দেখছে। ঘণ্টাখানেক ওখানে বসার পর আমরা ফিরে আসার সিদ্ধানত্ম নেই। সফরসঙ্গী তিন মেয়ে মুন্নী, সুপ্রীতি এবং কঙ্কা বেঁকে বসেন। তাঁরা আসবেন না। আরও বসবেন। আমাদের সঙ্গে চট্টগ্রামের রফিকুল বাহার ধূপের গন্ধে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা সিদ্ধানত্ম নিলাম কেউ কেউ ওখানে থাকবে এবং আমরা কয়েকজন হোটেলে চলে যাব। পুলিশ ইন্সপেক্টর কিছুতেই দল ভাঙ্গতে রাজি নন। তিনি বলেন, দল ভাঙ্গলে আমি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব না। শেষ পর্যনত্ম তাঁকে অনেক বুঝিয়ে আমরা ক'জন হোটেলে ফিরে আসি। অল্প সময় পরেই আমি এবং সালাম ভাই বের হয়ে যাই বেনারসি শাড়ির সন্ধানে। ড্রাইভার জাকির আমাদের নিয়ে যায় একটি শাড়ির ফ্যাক্টরিতে। তিওয়ারী ইন্টারন্যাশনাল। মালিক কিষান তিওয়ারী। ঠিকানা ১০/৪৮ হুকুলগঞ্জ এমএ রোড। দু'টি খাঁটি বেনারসি সিল্ক শাড়ি কিনে হোটেলে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। হোটেলে ফিরে দেখি সবাই যার যার মতো করে সিল্ক ফ্যাক্টরিতে গেছেন এবং একাধিক শাড়ি কিনেছেন।

No comments:

Post a Comment