Monday, June 13, 2011

রাজপথে তৎপর পুলিশ, বিএনপি নেতা আলতাফ-হাফিজ গ্রেপ্তার

রতালের প্রথম দিনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, গ্রেপ্তার ও বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া সারা দেশে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই হরতাল পালিত হয়েছে। তবে রাজধানীর মহাখালীতে বিএনপি মিছিল বের করার চেষ্টা করলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ বীরবিক্রমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিএনপি বলেছে, হরতালকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত তাদের সাত শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

৩৬ ঘণ্টার টানা হরতাল শেষে আজ সন্ধ্যায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের পরিকল্পনার প্রতিবাদে এবং সংবিধান সংশোধনের সুপারিশ প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল রবিবার থেকে আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা হরতাল আহ্বান করেছে বিএনপি ও জামায়াত। হরতালের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে সমমনা দলগুলো। তবে সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ এক দিনের হরতাল রবিবার পালন করেছে। আজ তাদের হরতাল নেই।
গতকালের হরতালে রাজধানীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও মহাখালী এলাকা ছাড়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিছিল-পিকেটিং করতে তেমন দেখা যায়নি। তবে মহাখালীর ওয়্যারলেস গেট এলাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করা হলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ বীরবিক্রমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গাড়ি পোড়ানো মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে গুলশান থানার ওসি শাহ আলম কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন। আজ দুজনকে আদালতে হাজির করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
গতকাল বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশে এবং মিরপুরে অন্তত ২০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। সন্ধ্যার পর বিএনপি কার্যালয়, গাজী ভবন, নাইটিঙ্গেলের সামনে এবং ফকিরাপুলে দুটি করে আটটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এর আগে সকাল সোয়া ৮টায় ফকিরাপুল মোড়ের কাছে তিনটি, সোয়া ১১টার দিকে বিএনপি মহানগর কার্যালয়ের ছাদে দুটি, দুপুর সোয়া ১টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ফের একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। বিকেল পৌনে ৪টায় সিটি হার্ট মার্কেটের সামনে আরো দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটলে কনস্টেবল হাবিব ও হাবিলদার মামুন আহত হন। গত ৫ জুনের বিএনপির হরতালে একই চিত্র ছিল।
এদিকে হরতালে ব্যাপক ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। পুলিশ বলেছে, হরতাল চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থককে আটক করা হয়েছে। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিকভাবে অনেক ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের শত নির্যাতন সহ্য করেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে। রাজধানী ও বিভিন্ন জেলা থেকে ৭০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
গতকাল দুপুর পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কাউকে দাঁড়াতেই দেয়নি পুলিশ। এ নিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন নেতার সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। মিরপুর, উত্তরা, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, ডেমরা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির কর্মীদের মিছিল বের করতে বাধা দেয় পুলিশ। বেশ কয়েকটি স্থানে পুলিশ মিছিলকারীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় রাস্তায়ই দাঁড়াতে পারেননি দলটির কোনো সদস্য। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতের আটজনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে হরতাল চলাকালে রাজধানী ঢাকায় বাস ও মিনিবাসের চলাচল ছিল কম। রাস্তাঘাট ছিল রিকশার দখলে। প্রধান সড়কে দোকানপাট তেমন একটা খোলা না থাকলেও নগরীর অলিগলির দোকানপাট খোলা ছিল। মতিঝিল ব্যাংকপাড়া ও সচিবালয়ে উপস্থিতি নিত্যদিনের তুলনায় কম ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে সব ব্যাংকের ফটক বন্ধ করে লেনদেন কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর সামনে ছিল পুলিশি টহল। তব ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক ছিল কম। সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়গুলোতে কার্যক্রম চললেও দর্শনার্থী ছিল অনেক কম। বেশির ভাগ কর্মকর্তা সকাল ৯টার আগেই অফিসে উপস্থিত হন। কর্মচারীরা বাসে, রিকশায় আবার অনেকে হেঁটে সচিবালয়ে উপস্থিত হন। সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী থেকে দূরপাল্লার বাস-মিনিবাস ছেড়েছে হাতে গোনা কয়েকটি। রেল ও বিমান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। সদরঘাট থেকে ঠিকভাবেই লঞ্চ চলাচল করেছে, তবে যাত্রী ছিল কম। পণ্য ওঠানো-নামানোও ছিল অনেকাংশে কম।
অবরুদ্ধ বিএনপি কার্যালয় : বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সকাল ৯টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন হাকিম অবস্থান নেন। পুলিশি ব্যারিকেডের ফলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা দিনভর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরেই অবস্থান করেন। পুলিশ আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপির কর্মী সন্দেহে দিনভর অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, কৃষক দলের শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোর থেকেই বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে অবস্থান নেন। সকাল ৬টার পর মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দিনের প্রথম মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের সঙ্গে পুলিশের বাগ্বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। বাগ্বিতণ্ডা থামাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল মাটিতে পড়ে যান এবং ডান হাতে ব্যথা পান। পুলিশ এ সময় সেখান থেকে আট নেতা-কর্মীকে আটক করে।
সাংবাদিকদের লাঠিপেটা : আটকের সময় নূরে আরা সাফা রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে সাংবাদিকরা তাঁর ছবি তুলতে যান। একপর্যায়ে পুলিশ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে কালের কণ্ঠের বিশেষ ফটো সাংবাদিক রফিকুর রহমান রেকু, চ্যানেল আইয়ের মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু, এটিএন বাংলার মহসিন, এনটিভির অজিত আইস তাপস, দেশ টিভির শিবলী আহত হন। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি অফিসের সামনের সড়কে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। সকাল সাড়ে ১১টায় ডিবির এডিসি মোল্লা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালালেও তাতে সফল হননি। পরে মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ এবং দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা রাস্তার ওপর থেকে সরে আসেন।
জামায়াতের তৎপরতা : জামায়াতের ঢাকা মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা সেনাকল্যাণ ভবন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিরপুরের সাড়ে ১১ নম্বর এলাকায় সকালে নেতা-কর্মীরা মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দেন। শ্যামপুরের মিছিল যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে শুরু করে ধোলাইরপাড় যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে জামায়াত-শিবিরের ৯ কর্মী আহত হন। যুবলীগকর্মীরা দুই জামায়াতকর্মীকে ধরে পুলিশে তুলে দেন। পল্টনের কালভার্ট রোডের মিছিলে নেতৃত্ব দেন থানা আমির অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন। এ ছাড়া গুলিস্তান, হাজারীবাগ, মহাখালী, গুলশান, রমনা, খিলগাঁও, আদাবর, মোহাম্মদপুর ও সূত্রাপুরে রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তাঁরা।
বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, 'জামায়াতের ১৮ নেতা-কর্মীকে শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে ধরে অন্যায়ভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত শাস্তি দিয়েছেন। সরকার ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশকে আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। সারা দেশে আমাদের ৬৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ : এদিকে শুধু রবিবারের হরতালের সমর্থনে বাংলামোটর থেকে সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন রাব্বানির নেতৃত্বে ২০ জনের একটি মিছিল মূল সড়কে ওঠার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের হাতে আটক হন ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন রাব্বানি। পরে তাঁদের কলাবাগান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় সংগঠনটি।
হরতালবিরোধীরা রাজপথে : মিরপুরে রাজপথ ছিল আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও পুলিশের দখলে। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে হরতালবিরোধী মিছিল বের করেন। তাঁদের মিছিল চলাকালে মিরপুর ১ নম্বর সেকশন, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেঙ্, গ্রামীণফোন সার্ভিস সেন্টার ও চায়নিজ রেস্টুরেন্টের সামনে পর পর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এদিকে হরতাল শুরুর আগেই ভোর ৫টার দিকে হরতাল সমর্থনকারীরা মিরপুর ১৩ ও ১৪ নম্বর সেকশনের হারম্যান মেইনার স্কুলের সামনে দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর একটি কৃষি ব্যাংকের স্টাফ বাস, অন্যটি যাত্রীবাহী বাস (মাইলাইন পরিবহন)। এদিকে হরতাল সমর্থনকারী জামায়াত নেতারা পল্লবী সাড়ে ১১ নম্বর সেকশনের অণিক প্লাজার সামনে থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ ছাত্রদলের শামীম আহমেদসহ কয়েকজনকে আটক করে।
চার আইনজীবী আটক : হরতালের কারণে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বসলেও হাইকোর্ট বসেনি। আপিল বিভাগ মাত্র একটি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বক্তব্য শোনেন। তবে বিবাদীপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এ ছাড়া আর কোনো মামলার আইনজীবী না থাকায় একটিমাত্র মামলায় আদেশ দিয়ে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনসহ আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি এজলাস ত্যাগ করেন। এদিকে দুপুর ১২টা পাঁচ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান বাদশা অটোরিকশায় করে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ঢুকতে গেলে হরতাল সমর্থক আইনজীবীরা বাধা দেন। এ সময় পুলিশ এগিয়ে এলে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী সমর্থক আইনজীবীরা পুলিশকে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে বের করে দিয়ে ফটক আটকে দেন। বাইরে পুলিশ ও ভেতরে আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। পরে চার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নয়ন বাঙালি, শামীম আকন্দ, শরীফ আহমেদ ও দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও অ্যাডভোকেট মহসীন মিয়ার নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে জজ কোর্টের ভেতরে পৃথক মিছিল বের করার চেষ্টাকালে পুলিশের বাধার কারণে তা ব্যর্থ হয়। পরে তাঁরা জজকোর্টের ভেতরে মিছিল-সমাবেশ করেন। সাড়ে ১০টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হরতালের বিপক্ষে একটি মিছিল বের করেন। এ ছাড়া হরতালের বিপক্ষে সদরঘাট শ্রমিক লীগ এবং কবি নজরুল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগ পৃথকভাবে মিছিল-সমাবেশ করে।
এদিকে দুপুর ১টার দিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ককটেলের বিকট শব্দে একজন পথচারী ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

No comments:

Post a Comment