Tuesday, January 11, 2011

বায়ান্নতেই আইখম্যানের হদিস জানত জার্মানি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী অ্যাডলফ আইখম্যানের আর্জেন্টিনায় লুকিয়ে থাকার খবর জানত পশ্চিম জার্মানি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ কর্নেল দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে আত্মগোপন করেন। জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার অবমুক্ত নথিপত্রের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে দেশটির বিল্ত পত্রিকা।
গত শনিবার পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, ১৯৬০ সালে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাতে ধরা পড়ার আগে প্রায় এক দশক আর্জেন্টিনায় 'রিকার্ডো ক্লেমেন্ট' ছদ্মনামে আত্মগোপন করে ছিলেন আইখম্যান। তাঁর এ গোপনবাসের কথা পশ্চিম জার্মানি ১৯৫২ সালের গোড়ার দিক থেকেই অবগত ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৩৯-১৯৪৫ সাল) জার্মান অধিকৃত পোল্যান্ডের বিভিন্ন নির্যাতন শিবিরে লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যা করে জার্মানির নাৎসি বাহিনী। নিরস্ত্র ইহুদিদের ট্রেনে করে নির্যাতন শিবিরগুলোতে নিয়ে যাওয়া হতো। নাৎসিদের কুখ্যাত এসএস বাহিনীর প্রধান হাইনরিশ হিলমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন আইখম্যান। যুদ্ধের পর তাঁকে আটক করা হলেও তিনি হাজতখানা থেকে পালিয়ে আর্জেন্টিনায় পাড়ি জমান। সেখান থেকে মোসাদের সদস্যরা তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে আসেন। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ দায়ে আইখম্যানকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ১৯৬২ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
বিল্ত তাদের প্রতিবেদনে জানায়, আইখম্যান-সংক্রান্ত দলিল-দস্তাবেজ পুরোপুরি উন্মুক্ত করতে অনিচ্ছুক ছিল জার্মান গোয়েন্দারা। কারণ, জার্মানি ও ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ গোপন আঁতাতের মাধ্যমে আইখম্যানকে বিচারের মুখোমুখি না করে আর্জেন্টিনায় পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল_এ বিষয়টি প্রকাশিত হয়ে যাবে। তবে জার্মান গোয়েন্দা বিভাগ ১৯৫৮ সালে ওয়াশিংটনকে আইখম্যানের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়েছিল বলে বিল্ত জানায়। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।

No comments:

Post a Comment