Tuesday, January 11, 2011

পাওনা আনতে গিয়ে মার খেল গার্মেন্টস শ্রমিকরা

নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের বন্ধ হওয়া হাইল্যান সুয়েটার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সোমবার তাদের বকেয়া পাওনা নিতে এসে আদমজী ইপিজেড কতর্ৃপক্ষ ও পুলিশের তোপের মুখে পড়ে। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে এ সময় নিরাপত্তা প্রহরী ও শ্রমিকসহ আহত হয় ২০ জন।
পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ইপিজেড থেকে বের হয়ে ডেমরা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে ব্যারিকেড দেয়। পরে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। হাইল্যান সুয়েটার কারখানা গত ৪ জানুয়ারি বন্ধ করে দেয় কতর্ৃপক্ষ। গতকাল ঐ গার্মেন্টস শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল।

জানা গেছে, ৮ শতাধিক শ্রমিক গতকাল সকালে তাদের পাওনাদি নিতে আদমজী ইপিজেডে যায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের সাথে ইপিজেড ও গার্মেন্টস কতর্ৃপক্ষ আলোচনায় বসেন। কিন্তু তাদের পাওনাদি নিয়ে ইপিজেড ও গার্মেন্টস কতর্ৃপক্ষ টালবাহানা করতে থাকে বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করে। শ্রমিকরা জানায়, তারা তাদের ন্যায্য বকেয়া পাওনা চাইতে থাকলে এক পর্যায়ে ইপিজেড কতর্ৃপক্ষ, নিরাপত্তা প্রহরী ও পুলিশ মারমুখো হয়ে শ্রমিকদের লাঠিপেটা করতে থাকে। এতে দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশ ও নিরাপত্তা প্রহরীদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় হাইল্যান সুয়েটার ফ্যাক্টরির কয়েকটি জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে শ্রমিকরা। শ্রমিকরা জানায়, এ সময় মিজানের নেতৃত্বে গার্মেন্টসের ভাড়াটিয়া দালাল বাহিনী শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ডেমরা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে এসে ব্যারিকেড দেয়। শ্রমিকদের অভিযোগ, ইপিজেড কতর্ৃপক্ষ গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে তাদের পাওনা আদায় করে দিচ্ছে না।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম বদরুল আলম জানান, বন্ধ হওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকদের ডিসেম্বর মাসের বেতন দেয়ার কথা ছিল ১০ জানুয়ারি। কিন্তু গার্মেন্টস কতর্ৃপক্ষ তাদের বেতন গতকাল না দিতে পেরে ১৬ জানুয়ারি দেয়ার ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা বেপজার জিএম, গার্মেন্টস মালিকপক্ষের প্রতিনিধি ও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তারপর পুলিশ তাদের ধাওয়া করে।

এ ব্যাপারে ইপিজেড কতর্ৃপক্ষের সাথে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করতে চাইলে তাদেরকে ইপিজেড অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেয়নি নিরাপত্তা প্রহরীরা। এমনকি সেখানে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে ইপিজেড কর্মকর্তারা ফোন রেখে দেন।

No comments:

Post a Comment