Tuesday, January 11, 2011

রাজশাহী ও রংপুরের ৭২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ কাল

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের তফসিলভুক্ত পৌরসভাগুলোতে গতকাল সোমবার থেকে টহল শুরু করেছে সেনা ও বিজিবি (সাবেক বিডিআর) সদস্যরা। এসব এলাকায় গতকাল সোমবার রাত ১২টার পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে। ১২ জানুয়ারি বুধবার এ দুই বিভাগের ৭২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন জানিয়েছেন, তফসিলভুক্ত প্রত্যেক পৌরসভায় সেনা ও বিজিবি'র এক পস্নাটুন করে সদস্য নিয়োজিত থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে তাদের টহল দেয়ার সময় নেতৃত্বে থাকবেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

ইসি সচিবালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ইত্তেফাককে জানান, রাজশাহী বিভাগের ৫ জেলার ১৪টি পৌরসভায় গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে নির্বাচনের পরদিন রাত ১২টা পর্যন্ত সেনা মোতায়েন থাকছে। এ সময় রাজশাহী, দিনাজপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১ পৌরসভায় বিজিবি সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। রংপুর বিভাগের কোন পৌরসভায় সেনা মোতায়েন না থাকলেও ১২ পৌরসভায় দায়িত্ব পালন করবে বিজিবি।

তিনি জানান, নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর থেকে সংশিস্নষ্ট এলাকায় র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্য ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের ভ্রাম্যমাণ দল দায়িত্ব পালন করছে। গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিটি পৌরসভার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক র্যাব, আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদেরও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে মোতায়েন করা হচ্ছে।

প্রচারণা শেষ : যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

নিয়মানুযায়ী গতকাল সোমবার রাত ১২টায় শেষ হয়ে গেছে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের নির্ধারিত পৌরসভাগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণা। এছাড়া সোমবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত সংশিস্নষ্ট এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। আজ মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ভোটের দিন রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, বেবি ট্যাক্সি/অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, কার, পিকআপ, বাস, টেম্পো, লঞ্চ, ইঞ্জিন বোট ও স্পিডবোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

নির্বাচন সামগ্রী পাঠানো সম্পন্ন

ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের নির্ধারিত পৌরসভাগুলোতে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সব ধরনের সামগ্রী সংশিস্নষ্ট জেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। ভোটের আগের দিন সব কেন্দ্রে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের প্রহরায় এসব সরঞ্জাম নিয়ে পেঁৗছবেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা। আজ ১১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার ও অঙ্গীভূত আনসার নিয়োগ করা হবে বলে জানান ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।

ভোট কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই)/ সার্জেন্ট/ এএসআই/ হাবিলদারের নেতৃত্বে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন থাকবেন। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রধারী পাঁচজন পুলিশসহ ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রধারী ছয়জন পুলিশসহ ২০ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

রংপুর-রাজশাহীতে প্রার্থী ৪৭১১

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন পৌরসভায় সবমিলিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে চার হাজার ৭১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগের ৪৯টি পৌরসভায় তিন হাজার ১৫৮ জন এবং রংপুরের ২৩ পৌরসভায় এক হাজার ৫৫৩ জন।

সেনা ও বিজিবি থাকছে যে পৌরসভায়

রাজশাহী বিভাগের যেসব পৌরসভায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে সেগুলো হলো নাটোর জেলার সদর, নলডাঙ্গা, সিংড়া, গুরুদাসপুর ও গোপালপুর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর ও শিবগঞ্জ। সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর ও শাহজাদপুর। বগুড়া জেলার সদর ও শেরপুর এবং পাবনা জেলার সদর, সুজানগর ও ঈশ্বরদী। রংপুর বিভাগের যেসব পৌরসভায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে সেগুলো হলো পঞ্চগড় জেলার সদর, লালমনিরহাটের সদর ও পাটগ্রাম, ঠাকুরগাঁওয়ের সদর, রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জ, নীলফামারীর সদর, জলঢাকা ও সৈয়দপুর, রংপুরের হারাগাছ, কুড়িগ্রামের সদর, গাইবান্ধার সদর ও গোবিন্দগঞ্জ, দিনাজপুরের হাকিমপুর, রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর, গোদাগাড়ী, কাঁকনহাট, তানোর, মুণ্ডুমালা, কেশরহাট ও চারঘাট এবং জয়পুরহাট সদর।

No comments:

Post a Comment