Tuesday, January 11, 2011

মারফত ও হাশেমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

জেল হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে অব্যাহতি পাওয়া দুই আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে অবিলম্বে মেট্রোপলিটন সেশন জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানির জন্য মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য সারসংক্ষেপ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে বিচারিক আদালতের রায়ে এ দুজনের মৃত্যুদণ্ড হয়। লিভ টু আপিলের ওপর আজ সকালে সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে একই বেঞ্চ আদেশের এ ক্ষণ ধার্য করেছিলেন।
আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, লিভ মঞ্জুর করেছেন আদালত। দুই আসামিকে মেট্রোপলিটন সেশন জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সারসংক্ষেপ দাখিল করা প্রশ্নে তিনি বলেন, ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এটি জমা দেওয়া হবে।
৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগ আদেশ দেওয়ার জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে। পরদিন তত্কালীন উপকারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে পলাতক আসামি রিসালদার (ক্যাপ্টেন) মোসলেম উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মারফত আলী শাহ ও আবুল হাশেম মৃধাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের। এ ছাড়া চারজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে অব্যাহতি পান। অপর আট আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। পৃথক পাঁচটি লিভ টু আপিল করা হয়। গত বছরের ৪ নভেম্বর আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য আরজি জানায়।
জেল হত্যা মামলায় হাইকোর্টে অব্যাহতি পাওয়া চারজন—সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদের ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

No comments:

Post a Comment