Tuesday, January 11, 2011

ওয়ান ইলেভেনের 'কুশীলবদের' বিচার দাবি বিএনপি'র

য়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে 'রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী' অভিহিত করে এর 'কুশীলবদের' বিচার দাবি করেছে বিএনপি। বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ মঙ্গলবার বলেছেন, "দুই নেত্রী নয়, জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতেই ষড়যন্ত্রকারীরা ১/১১ এর মাধ্যমে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করেছিলো।"

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বড় পরিবর্তনগুলোর একটি ঘটে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি। চার বছর আগের এ দিনেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়, যা বহাল ছিলো পরবর্তী দুই বছর। ২০০৬ সালের শেষ ভাগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা-হানাহানির আপাত অবসান ঘটে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের জরুরি অবস্থা জারি করার মধ্যে দিয়ে। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেন তিনি। বাতিল করা হয় ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন।

সেনা বাহিনীর সমর্থন নিয়ে নতুন প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ। এই সরকার নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে দুই বছর পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর, আবার গণতন্ত্রে ফেরে দেশ। ১১ জানুয়ারি ক্ষমতার পালাবদলের পর জরুরি ক্ষমতার আওতায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হয়েছিলো। শুরুতে দেশের মানুষ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করলেও ধীরে ধীরে তা কমতে শুরু করে।

১১ জানুয়ারিকে 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' অভিহিত করে এ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে বিএনপি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে কথা বলছিলেন খন্দকার মোশাররফ। সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ অভিযোগ করেন, সরকার ১/১১ এর ষড়যন্ত্রকারী অবৈধ সরকারের ধারাবাহিক সরকার বলেই তাদের [তত্ত্বাবধায়ক সরকারের] অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিচার করছে না। উল্টো বিগত অবৈধ সরকারের মতোই বিরোধী দলের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে।

এভাবে নির্যাতন চালিয়ে বিরোধী দলকে দমানো যাবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি। ওয়ান ইলেভেনের সরকার শেখ হাসিনাকে বন্দি করে নির্যাতন চালিয়েছে উল্লেখ করে তাদের বিচার করতে শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, "সুযোগ আসলে বিএনপি অবশ্যই ১/১১-এর ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করবে।" বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের ওপর শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানান তিনি।

বিএনপির সহসভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এম ইলিয়াস আলী, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

No comments:

Post a Comment