Tuesday, January 11, 2011

চীনের সঙ্গে দৃঢ় সামরিক মৈত্রীর অঙ্গীকার

চীনের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক দৃঢ় করার অঙ্গীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট গেটস। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিয়াং গুয়াংলিও একই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। গতকাল সোমবার বেইজিংয়ে আলোচনা শেষে তাঁরা এ অঙ্গীকার করেন।

প্রতিরক্ষা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য গত রবিবার চার দিনের সফরে বেইজিং পেঁৗছান গেটস। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন চীনা প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও। সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ হিসেবে তাই এক সপ্তাহ আগে গেটসের এই বেইজিং সফর। ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তির মাধ্যমে চীন হুমকি সৃষ্টি করতে পারে_যুক্তরাষ্ট্রের এমন আশঙ্কাও গেটসের এ সফরের মাধ্যমে কমবে বলে আশা করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। লিয়াংয়ের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে গেটস সাংবাদিকদের বলেন, বারাক ওবামা ও চিনথাওয়ের কাছে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লিয়াং বলেন, চীন কারো জন্যই হুমকি হবে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি অর্জনের পথে অন্য অনেক দেশের চেয়ে চীন কয়েক দশক পিছিয়ে আছে।
তাইওয়ানের কাছে সাড়ে ৬০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গত বছর সামরিক সম্পর্ক স্থগিত করে চীন। গেটস ও লিয়াং জানান, দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আবার শুরু করা হবে এবং রাজনীতির কারণে তা প্রভাবিত হবে না। তবে চীন এখনো তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করে বলেও জানান লিয়াং। তিনি বলেন, 'অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি চীনের স্বার্থ গভীরভাবে ক্ষুন্ন করে। আর কখনো এ রকম ঘটনা দেখতে চাই না আমরা।'
প্রতিরক্ষা খাতে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে থাকে। বছরে এ খাতে তারা প্রায় ৭০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করে। যুক্তরাষ্ট্রের পরই চীন এই খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়। এ বছরেও তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চীনের সামরিক উন্নয়নের বিষয়টি একেবারেই যথাযথ বলেও জানান লিয়াং। চীন সফর শেষে গেটস জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

No comments:

Post a Comment