Tuesday, January 18, 2011

জাহাজ ভাঙা শিল্পে স্থিতিশীলতা আনার অনুরোধ

জাহাজ ভাঙা শিল্পে স্থিতিশীলতা রাখতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ স্টিল ও রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলছেন, এ খাতের স্থিতিশীলতার ওপরই স্টিল ও রি-রোলিং খাতসহ এমএস রডের বাজারের স্থিতি নির্ভরশীল।

গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সংগে সাক্ষাৎ করে ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, 'দেশে চার শতাধিক রি-রোলিং মিল রয়েছে। কারখানাগুলোতে উৎপাদিত এমএস রড দেশের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করে। এ শিল্পে বছরে প্রায় ৩৫ লাখ টন কাঁচামালের দরকার হয়। এর ৮০ ভাগ কাঁচামাল আসে দেশের জাহাজ ভাঙা শিল্প থেকে।
জাহাজ ভাঙা বন্ধ থাকায় কাঁচামালের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে স্ক্র্যাপের দামও বাড়ছে। এভাবে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার অপচেষ্টা চলছে। কাঁচামালের অভাবে ইতিমধ্যে অনেক মিল বন্ধ হয়ে গেছে। আরো অনেক মিল বন্ধ হওয়ার পথে। শিল্প বন্ধ হওয়ায় লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হচ্ছে। এতে সমাজে নানা অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।'
কাঁচামালের সমস্যার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন-গুলোকে সক্সগে নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সংগে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান। তিনি বলেন, 'পরিবেশসম্মতভাবে জাহাজ ভাঙা শিল্প গড়ে তুলতে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দেশটি সহায়তা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পরিবেশ ও উন্নয়নের মধ্যে ভারসাম্য রেখে জাহাজ ভাঙা শিল্প গড়ে তুলতে হবে। এজন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয় নীতিমালা তৈরির কাজ করছে। নীতিমালা প্রকাশিত হলে জাহাজ আমদানিতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।'
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (আইআইটি) মো. শওকত আলী ওয়ারেসী, রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুর রহমান, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, মহাসচিব ড. বশির উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

No comments:

Post a Comment