Wednesday, January 12, 2011

ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ, বললো বিএনপি

পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথা আগে প্রকাশ করলে বুধবার দুপুর পর্যন্ত তেমন কোনো অনিয়ম পায়নি বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান দুপুরের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "কয়েকটি স্থানে ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোটারদের অর্থ দিয়ে ভোট দিতে প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এছাড়া ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।"

তবে ভোটের পুরো চিত্র এখনো পাওয়া যায়নি বলে নজরুল জানান। বুধবার রাজশাহী ও রংপুরের ৭২টি পৌরসভায় একযোগে ভোটগ্রহণ চলছে। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌর নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং কক্ষ খুলেছে বিএনপি। সেখানেই সংবাদ সম্মেলন করেন নজরুল।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিকাল ৫টায় আবার সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি। নজরুল বলেন, "আমাদের কাছে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। এর প্রতিকার হবে বলে আশা করছি।'' সিরাজগঞ্জে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য রোমানা মাহমুদ ভোট দিয়ে ফেরার পথে নাজেহাল হয়েছে অভিযোগ করে নজরুল বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর একজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক একজন এমপিকে অসম্মান করছেন, এটা নিন্দনীয়।"

অভিযোগ রয়েছে, রোমানা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে তার গাড়িতে করে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। গাইবান্ধা পৌর নির্বাচনে দুপুরের মধ্যে ব্যালেট পেপার শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ব্যালট পেপার আনা হচ্ছে জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, "ওই এলাকার কয়েকটি কেন্দ্র থেকে আমাদের সমর্থক এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়।"

এছাড়া সিরাজগঞ্জ, রাজশাহীর দুর্গাপুরের ধরমপুর, রংপুরের চৌপুকুরিয়া কেন্দ্রে অনিয়ম ও এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ধরেন নজরুল। এছাড়া কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীকে প্রচার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। পটুয়াখালীতে বৃহস্পতিবার পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সফরে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘিত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলন নজরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এমএ কাইয়ুম, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবউন নবী খান, সাধারণ সম্পাদত শরাফত আলী সপু, যুব দলের সহসভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

No comments:

Post a Comment