Wednesday, January 12, 2011

ফুলকপির ঔষধি গুণ by জেড হক

বুজ-সাদার এক অপূর্ব সৃষ্টি ফুলকপি আমাদের দেশের বেশ জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি। খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে ইউরোপে উৎপত্তি হওয়া ফুলকপির আদিস্থান ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা।

ফুলকপি পুষ্টিকর একটি সবজি। সাধারণত ফুলকপির ফুল অর্থাৎ সাদা অংশটুকুই খাওয়া হয় আর সাদা অংশের চারপাশে ঘিরে থাকা ডাঁটা এবং পুরু, সবুজ পাতা দিয়ে স্যুপ রান্না করা হয় অথবা ফেলে দেওয়া হয়। এটি রান্না বা কাঁচা যেকোনোভাবে খাওয়া যায়, আবার এটি দিয়ে আচারও তৈরি করা যায়।
ফুলকপির পাতাও পুষ্টিসমৃদ্ধ। পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপির পাতায় যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তা হলো জলীয় অংশ ৮০ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ৩ দশমিক ২ গ্রাম, আঁশ ২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলো ক্যালরি, প্রোটিন ৫৯ গ্রাম, চর্বি ১ দশমিক ৩ গ্রাম, শর্করা ৭ দশমিক ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬২৬ মিলিগ্রাম ও আয়রন ৪০ মিলিগ্রাম। এতে গরুর দুধের চেয়ে ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণ যথাক্রমে পাঁচ গুণ এবং ২০০ গুণ বেশি।
- ফুলকপির কচি পাতা শীতকালে ঠাণ্ডায় ত্বকে লালচে হয়ে ফুলে যাওয়া এবং চুলকানি প্রতিরোধ করে।
- ভিটামিন এ-এর পরিমাণ বেশি থাকায় চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে, দেহের কোথাও কেটে গেলে ফুলকপির কচি পাতার রস লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- ফুলকপি পাতার উপরিভাগে ক্যান্সার নিরোধক উপাদান রয়েছে। বাল্টিমোরে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা ফুলকপির পাতায় আইসোথায়াসায়ানেটস নামক রাসায়নিক পদার্থ পেয়েছেন, যা দেহে সৃষ্ট জৈব রাসায়নিক পদার্থের স্বাভাবিক বিষক্রিয়া দূর করতে শক্তি জোগায়।
- বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, সপ্তাহে প্রায় দুই পাউন্ড এ-জাতীয় শাকসবজি খেলে মলাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমাতে পারে।
- ফুসফুস রক্ষায় সহায়তা করতে পারে ফুলকপি। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে, ভয়াবহ ফুসফুস রোগের জন্য যেসব কারণ দায়ী তা প্রতিরোধে ফুলকপি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তনালির যে ক্ষতি হয় ফুলকপি তা প্রতিরোধে সহায়তা করে। তা ছাড়া ফুলকপির মতো সবজি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
তথ্য সহায়তা : তৃপ্তি চৌধুরী
পুষ্টিবিদ, বিএসএমএমইউ, ঢাকা

No comments:

Post a Comment