Tuesday, December 07, 2010

ইব্রাহিম ও সাব্বির হত্যা মামলা চাঞ্চল্যকর মামলায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন আরও দুটি মামলাকে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। একটি যুবলীগের কর্মী ইব্রাহিম হত্যা মামলা এবং অপরটি বসুন্ধরা গ্রুপের টেলিযোগাযোগ শাখার পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যা মামলা। আজ মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার মনিটরিং সেলের ৬৮তম বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
আজকের বৈঠকে ১০টি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব মামলার তদন্ত করে দ্রুত পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সভায় আজ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হিসেবে আরও দুটি মামলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মামলা দুটি হলো—আদাবরের রাকীব দেওয়ান শেখের হত্যা মামলা এবং গফরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত সচিব, উপসচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট আওয়ামী লীগের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরীর পিস্তলের গুলিতে যুবলীগের কর্মী ইব্রাহিম নিহত হন। এ ঘটনায় সাংসদের গাড়ির চালক বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। পুলিশ ২ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে অপমৃত্যুর মামলাটি শেষ করে এবং এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে।
অবশ্য তার আগে ১৮ আগস্ট ইব্রাহিমের ভাই মাসুম আহমেদ বাদী হয়ে সাংসদ নুরুন্নবীসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়েরের জন্য আদালতে নালিশি আবেদন করেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের টেলিযোগাযোগ শাখার পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির ২০০৬ সালের ৪ জুলাই নৃশংসভাবে খুন হন। পুলিশ সাব্বিরের হত্যাকাণ্ডে শাহ আলমের ছেলে সানবীরের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে।
সাব্বির হত্যা মামলা থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে সাফায়েত সোবহান সানবীরের নাম বাদ দিতে তত্কালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে ২১ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে সিআইডি ২০০৮ সালের ৮ মে রমনা থানায় এ মামলা করে। মামলায় বসুন্ধরার মালিক আহমেদ আকবর সোবহানসহ চারজনকে আসামি করা হয়।

No comments:

Post a Comment