Tuesday, December 07, 2010

অপহূত জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকার তৎপর

লদস্যুদের হাতে অপহূত বাংলাদেশি জাহাজ এবং জাহাজের নাবিকদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সব ধরনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ কথা জানিয়েছে। এ ব্যাপারে সোমালিয়া কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সরকার নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পাওয়া সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, ‘এমভি জাহান মণি’ জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে এক হাজার নটিক্যাল মাইল পূর্বে অবস্থান করছিল। উপগ্রহের সহায়তায় জাহাজটির অবস্থান ও গতিবিধি তদারককারী সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মুখ্য কর্মকর্তা ক্যাপ্টন হাবিবুর রহমান এ তথ্য জানান।
জাহাজের মালিকপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটি পুরোপুরি জলদস্যুদের কবজায় চলে গেছে বলে তাঁরা মনে করছেন। এটি তাঁদের পক্ষে উদ্ধারে আপাতত কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সময় গত রোববার বেলা তিনটার দিকে জলদস্যুরা এমভি জাহান মণি আক্রমণ করে। সোয়া তিনটার মধ্যে তারা জাহাজটির পূর্ণ দখল নেয়। এরপর তারা জাহাজের সব বেতার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আক্রান্ত হওয়ার পরপরই জাহাজের ক্যাপ্টেন ফরিদুল ইসলাম দুবাই-ভিত্তিক জলদস্যুতা তদারকি সংস্থা ইউকে এমওটিসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংস্থাকে ঘটনার কথা জানান।
জাহাজটিতে ২৬ জন বাংলাদেশি নাবিক আছেন। এর মধ্যে একজন কর্মকর্তা সপরিবারে ওই জাহাজে আছেন। জাহাজটির মালিক এস আর শিপিংয়ের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে নিকেলের আকরিক নিয়ে গ্রিসে যাচ্ছিল। মাঝপথে মালদ্বীপ ও ভারতের লাক্ষা দ্বীপের মাঝামাঝি জায়গায় এটি জলদস্যু দ্বারা আক্রান্ত হয়।’ জাহাজের মালিকপক্ষ সূত্রে আজ জানা গেছে, ৪৩ হাজার মেট্রিক টন পণ্য পরিবহনে সক্ষম বিশালাকৃতির ওই জাহাজটির বর্তমান বাজারমূল্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি। জলদস্যু আক্রান্ত হওয়ার সময় এটিতে ৪১ হাজার মেট্রিক টন পণ্য ছিল। জাহাজটি বাংলাদেশি মালিকের হলেও এটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে ভাড়ায় পরিচালিত হচ্ছিল।

No comments:

Post a Comment