Tuesday, January 04, 2011

আইনসম্মত হয়নি: মোজাফফর

মূল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কহীন একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের চুক্তি এবং তার আওতায় ঋণ দেওয়া আইনসম্মত হয়নি বলে মনে করেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।
সোমবার রাতে চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ্য হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সুজন সভাপতি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ কথা বলেন। একই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ বলেন, ওই চুক্তি ব্যক্তি স্বার্থে করা হয়েছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের 'পারিবারিক' একটি প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানের চুক্তি হয় ২০ বছর আগে। প্যাকেজেস কর্পোরেশন নামে ওই প্রতিষ্ঠানকে ১৯৯০ থেকে '৯৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে চুক্তি সই করেন ইউনূসের বাবা দুলা মিয়া সওদাগর।

মোজাফফর আহমেদ বলেন, "গ্রামীণ ব্যাংক দরিদ্র্য জনগণের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ দেবে। কোনো পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি করাটা নৈতিক ছিলো না। এটা আইনসম্মতও নয়।"

এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপহীনতারও সমালোচনা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।

তিনি বলেন, "তখন বাংলাদেশ ব্যাংক কেন ব্যবস্থা নেয়নি। সরকারের কর্তা ব্যক্তিরাও কেন ব্যবস্থা নেয়নি?"

এ বিষয়ে ফয়েজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এটা ব্যক্তি স্বার্থে করা হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস নিঃস্বার্থভাবে কখনোই কিছু করেননি। যা কিছু করেছেন, নিজের স্বার্থেই করেছেন।"

ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমসহ ইউনূসের অন্যান্য কার্যক্রমের প্র্রসঙ্গ টেনে তিনি আরো বলেন, "তার অন্যান্য কর্মকাণ্ডকে ন্যায্যভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিৎ।"

ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নিয়ে অনেকের সমালোচনা থাকলেও স¤প্রতি তহবিল স্থানান্তর নিয়ে বড় ধরনের বিতর্কে পড়েন গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনূস।

গত ৩০ নভেম্বর নরওয়ে টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংককে দেওয়া কোটি কোটি বিদেশি ডলার অন্য একটি তহবিলে সরানোর অভিযোগ তোলা হয়। যার ভিত্তিতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

বিষয়টি প্রকাশ্য হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন নেতা ইউনূসকে নিয়ে বক্রোক্তি করেন। তহবিল সরানোর বিষয়টি তদন্তও সরছে সরকার। যদিও গ্রামীণ ব্যাংক ও ইউনূসের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদেশি কোনো অর্থ আত্মসাৎ কিংবা অপব্যবহার করা হয়নি।

No comments:

Post a Comment